• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

‘এতো দেরি মানা যায় না’

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ১৫ জুন ২০১৮, ১৮:৩৪
ছবি: সংগৃহীত

আজ শুক্রবার সকাল থেকে কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে কোনো ট্রেনই সময়মত ছেড়ে যেতে পারেনি বলে জানিয়েছেন যাত্রীরা।

জানা গেছে, প্রায় সব ট্রেনই ছেড়েছে নির্দিষ্ট সময়ের অনেক পরে। এতে চরম ভোগান্তিতে যাত্রীরা। নির্দিষ্ট সময়ের সাড়ে তিন ঘণ্টা পর ছেড়ে গেছে রংপুর এক্সপ্রেস। বেহাল অবস্থা চিলেহাটিগামী নীলসাগর এক্সপ্রেস ও লালমনিরহাট ঈদ স্পেশালেরও।

স্টেশনে আসা যাত্রীরা অভিযোগ করে বলেন, সকাল থেকে এসে বসে আছি ট্রেনের কোনো খবর নেই। আমরা কি মানুষ না? প্রত্যেকবার কেনো এমন সমস্যা হবে? এটার স্থায়ী কি সমাধান নেই?

লালমনিরহাট ঈদ স্পেশাল ট্রেনে রংপুর যাবেন আনিস। তিনি সকালে আসেন কমলাপুর স্টেশনে। সেসময় তিনি বলেন, ৯ টা ১৫ মিনিটে ট্রেন ছেড়ে যাওয়ার কথা। এখনও ট্রেন আসেনি। গরমে এত সময় ধরে বসে থাকতে কষ্ট হচ্ছে।

শাহিন নামে অপর এক যাত্রী বলেন, ট্রেনের শিডিউলও ঠিক রাখা উচিৎ ছিল। কিছু সময় দেরি হতে পারে, তবে চার ঘণ্টা দেরি মানা যায় না। সবকিছুরই একটা সীমা আছে।

হাবিব নামে এক যাত্রী বলেন, বিমানবন্দর স্টেশনে প্রচণ্ড ভিড় থাকায় কমলাপুর চলে এসেছি। চট্টলা এক্সপ্রেসের জন্য অপেক্ষা করছি। এখনো ট্রেনের খোঁজ নেই।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দিনের প্রথম ট্রেন ধূমকেতু সকাল ৬টায় ছাড়ার কথা থাকলেও সকাল সাড়ে ৮টার পর ছাড়ে। খুলনাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস সকাল ৬টা ২০ মিনিটে স্টেশন ছাড়ার কথা থাকলেও সেটি ছেড়ে যায় সকাল ৭টা ৪০মিনিটে। তিস্তা এক্সপ্রেস সকাল সাড়ে ৭টায় স্টেশন ছাড়ার কথা থাকলেও ছেড়ে যায় ৮টার পরে। মহানগর প্রভাতী ৭টা ৪৫ মিনিট ছাড়ার কথা থাকলেও ছাড়ে সকাল ৮টা ২৮ মিনিটে।

কমলাপুর স্টেশন ম্যানেজার সিতাংশু চক্রবর্তী বলেন, দুই একটি ট্রেন দুই-এক ঘণ্টা দেরিতে গেছে। ৫৯টি ট্রেনের মধ্যে দু-চারটি বিলম্বে গেলে এটিকে শিডিউল বিপর্যয় বলা চলে না। বিকেল ৪টা পর্যন্ত ৩১টি ট্রেন ছেড়ে গেছে। এর মধ্যে ৫টা ট্রেনের শিডিউল দেরি হয়েছে।

এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh