গ্রিনরোডের ফুটপাত যেন হাসপাতালের পার্কিংলট (ভিডিও)
বিকেলে গ্রিন রোডে ঢুকেই ভীষণ যানজট টের পাওয়া গেলো। তীব্র গরমে রিক্সায় বসে ঘামছেন কেউ, কেউবা গাড়ি নিয়ে আটকা। কেউ যে হেঁটেই পথটা পাড়ি দিবেন, সে সুযোগও সীমিত। কারণ ফুটপাতও আটকা। কোথাও মোটরবাইকের পার্কিং এরিয়া বানানো হয়েছে। কোথাও দেয়া হয়েছে দোকান। এ সময় ফুটপাত দিয়ে হাঁটতে সমস্যা হচ্ছিল পথচারীদের, পরে ফুটপাত থেকে নেমেই প্রধান সড়ক দিয়ে হাটা দিতে দেখা গেলো পথচারীদের।
বিশেষ করে সেন্ট্রাল হাসপাতালের সামনে ফুটপাতের বেশির ভাগই পথচারীদের অধিকারে নেই। নানাভাবে দখলে চলে গেছে। এতে রোগীরাও পড়ছে বিপাকে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, নিষেধাজ্ঞা থাকলেও বাইকারদের দ্বৌরাত্বে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও অসহায়। এতে বাড়ছে ভোগান্তি-বিড়ম্বনা। ঘটছে দুর্ঘটনা।
গ্রিন রোড সরেজমিনে দেখা গেছে, সকাল থেকেই এ রোডে নিয়মিত যানজট লেগে থাকে। বেশিরভাগ গাড়ি-মোটরসাইকেল ফুটপাতকে পার্কিং এরিয়া বানিয়ে ফেলে। কোথাও কোথাও বাইকাররা ফুটপাতে উঠে পড়েন। এসব ছাড়াও রয়েছে দোকানের সারি ও ময়লার স্তূপ। চা-শিঙাড়ার দোকান, ছিন্নমূল মানুষের পলিথিনের ছাপরা ঘর, রিকশাভ্যানে দোকান। আর পথচারীরা এসব ঝুঁকি নিয়েই গাড়ির ভিড়ে রাস্তায় হাঁটছেন। পুলিশ এলে হকাররা পালান, পুলিশ গেলে আবার ফিরে আসেন। তবে হাসপাতালের সামনের বাইকগুলো কখনই সরে না।
কথা হয় স্থানীয় বাসিন্দা সাজ্জাদ হোসেনের সঙ্গে। তিনি আরটিভি অনলাইনকে বলেন, প্রতিদিন এই রোডে ব্যপক যানজট হলেও দেখার যেন কেউ নেই। ট্রাফিক পুলিশ একেবারেই থাকে না। ফুটপাতগুলো দখল করে রেখেছে স্থানীয় কয়েকটি হাসপাতালের লোকজন। তারা নিয়মিতভাবে রোগী-ডাক্তারদের গাড়ি পার্কিং করে রাখে। এতে সাধারণ পথচারীরা ফুটপাত দিয়ে চলতে পারেনা। এ কারণে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। বাড়ছে যানজট।
এ বিষয়ে সেন্ট্রাল হাসপাতালের উপ প্রশাসনিক কর্মকর্তা খলিলুর রহমান প্রথমে গাড়ি থাকার কথা অস্বীকার করেন। পরে তিনি আরটিভি অনলাইনের কাছে তিনি দাবি করেন, গ্রিন লাইফ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ল্যাবএইডে আসা ঔষধ কোম্পানির রিপ্রেজেন্টিভরা এসব গাড়ি রাখেন। বাবার হাসপাতালের সিকিউরিটি দিয়ে সরিয়ে দেয়া হলেও তারা গাড়ি রেখে যায়।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (ট্র্যাফিক) কাজী রোমানা নাসরিন আরটিভি অনলাইনকে বলেন, ফুটপাত দখলমুক্ত করতে মাঝে মধ্যেই বসে ভ্রাম্যমাণ আদালত। মামলাও হয়। তবে ট্র্যাফিক বিভাগে লোকবল কম থাকায় সব জায়গায় তদারকি করা সম্ভব হয় না। তবে কেউ সুনির্দিষ্টভাবে অভিযোগ দিলে পুলিশ সেটা খতিয়ে দেখবে।
এসজে
মন্তব্য করুন