হাজারীবাগে পাওয়া গেছে মদের কারখানা, আটক ৬৯
রাজধানীর হাজারীবাগের গণকটুলিতে মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। এসময় অভিযানস্থল থেকে ৯ জন নারীসহ ৭৯ সন্দেহভাজনকে আটক করা হয়েছে। পুলিশ ওই এলাকায় একটি মদের কারখানার সন্ধান পেয়েছে।
রোববার সকালে একজন ডেপুটি পুলিশ কমিশনারের নেতৃত্বে গণকটুলির বিভিন্ন বাসাবাড়ি ও দোকানপাটে অভিযান শুরু করে কয়েকশ পুলিশ সদস্য।
ওই এলাকার সুইপার কলোনিতে নিয়মিত মাদক ব্যবসা ও বিক্রি হয় বলে পুলিশের কাছে তথ্য ছিল। সেই তথ্যের ভিত্তিতে এ অভিযান চালানো হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
তবে পুলিশ জানিয়েছে আটক ব্যক্তিদের যাচাই-বাছাই করার পর তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গত কয়েকদিনের ধারাবাহিকতায় রাজধানীতে আজও মাদকবিরোধী অভিযান চালাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আজ রোববার সকাল ১১টা থেকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ রাজধানীর হাজারীবাগের গণকটুলিতে অভিযান চালায়।
রোববার সকালে একজন ডেপুটি পুলিশ কমিশনারের নেতৃত্বে গণকটুলির বিভিন্ন বাসাবাড়ি ও দোকানপাটে অভিযান শুরু করে কয়েকশ পুলিশ সদস্য।
ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেসন্স বিভাগ জানায়, চলমান মাদক বিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে গণকটুলির সুইপার কলোনিতে অভিযান চালানো হচ্ছে।
এ এলাকায় নিয়মিত মাদক ব্যবসা ও বিক্রি হয় বলে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযানটি পরিচালনা করা হচ্ছে।
শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে রাজধানীর গুলশানের কড়াইল ও কমলাপুরের টিটিপাড়া বস্তিতে পুলিশের অভিযানে ৫২জনকে আটক করা হয়েছে। এক হাজার করে মোট দুই হাজার পুলিশ সদস্য নিয়ে এ মাদকবিরোধী অভিযান চালানো হয়। এছাড়া এ দুই বস্তি থেকে প্রায় ত্রিশ হাজার পিস ইয়াবা, এক মণ গাঁজা এবং বিপুল পরিমাণ দেশি মদ ও ফেনসিডিল জব্দ করা হয়। এ অভিযানকে ডিএমপির পক্ষ থেকে ‘রাশ ড্রাইভ’হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
এসময় ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেন, জঙ্গি নির্মূল করতে যেভাবে অভিযান চালানো হয়েছে, মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারীদের বিরুদ্ধেও সেরকম অভিযান চলছে এবং তা অব্যাহত থাকবে। এর মাধ্যমে জঙ্গিবাদের মতো মাদককেও নির্মূল করা হবে।
এর আগে সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুর বিহারিক্যাম্পে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ান (র্যাব) মাদকবিরোধী অভিযানে দেড় শতাধিক ব্যক্তিকে আটক করা হয়। র্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুফতি মাহমুদ অভিযানের নেতৃত্ব দেন। অভিযানে ডগ স্কোয়াড ব্যবহার করা হয়।
মুফতি মাহমুদ জানান, আমরা আজ যে এলাকায় অভিযান চালাচ্ছি সে এলাকায় প্রচুর মাদকসেবী রয়েছে। আমাদের কাছে কিছু তালিকা রয়েছে যারা মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। পাশাপাশি জনসচেতনা বৃদ্ধিতে আমরা লিফলেটও বিতরণ করছি। অভিযানে বেশ কয়েকজনকে আটক করেছি। তাদেরকে যাচাইবাছাই করা হবে। যাদের শনাক্ত করা হবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রাজধানীর দেশের বিভিন্ন স্থানে মাদকবিরোধী অভিযান চলছে। এ অভিযানে অর্ধশত মাদক ব্যবসায়ী বন্ধুকযুদ্ধে মারা গেছেন, পাশাপাশি সারাদেশে আটক হয়েছেন সহস্রাধিক।
পি
মন্তব্য করুন