রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে চাপ সৃষ্টি করুন : নাসিম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আমরা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছি। তাদের স্বাস্থ্য সেবাসহ সকল প্রকার সুযোগ-সুবিধা দেয়া হচ্ছে। কিন্তু তাদের তো আমরা বছরের পর বছর আশ্রয় দিতে পারি না। তাই কমনওয়েলথ দেশগুলোর প্রতি আমি আহ্বান জানাবো রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে দ্রুত ফিরিয়ে নিতে সে দেশের সরকারের উপর যেন চাপ সৃষ্টি করা হয়। বললেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম
আজ(রোববার) সুইজারল্যান্ডের জেনেভার একটি হোটেলে কমনওয়েলথ ভুক্ত দেশগুলোর স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ কথা বলেন তিনি।
মোহাম্মদ নাসিম আশ্রিত রোহিঙ্গাদের স্বাস্থ্যসেবা দিতে বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মানবিক নির্দেশনা, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থাসহ অন্যান্য দেশের উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন।
এ সভায় বিশ্বে অসংক্রমিত রোগ প্রতিরোধ সচেতনতা সৃষ্টি, সার্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা হয়।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : ‘মুক্তিযোদ্ধা’ চিত্রকর্ম এঁকেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
--------------------------------------------------------
মন্ত্রী বলেন, নিম্ন ও নিম্নমধ্যম আয়ের দেশগুলোতে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা ও চিকিৎসা খরচ চালানো বড় একটি সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে। অনেক মানুষই নিজের পকেটের টাকা দিয়ে প্রয়োজনীয় সব ধরনের চিকিৎসা করাতে সক্ষম নন। এজন্য এ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য রাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে একীভূতভাবে কাজ করা দরকার।
তিনি বলেন, এক্ষেত্রে স্থানীয়ভাবে প্রত্যেক রাষ্ট্র স্বাস্থ্যবীমার পাশাপাশি, বিভিন্ন উৎসে কর, তামাকজাত পণ্য থেকে আদায়কৃত করের মতো আয় বৃদ্ধি করে ওই অর্থ স্বাস্থ্য সুরক্ষা কার্যক্রমের তহবিল গঠনে জোর দিলে দরিদ্র মানুষ এর সুফল পাবে। বাংলাদেশ সরকার ইতিমধ্যে এমন সব কর্মকৌশল নিয়ে কাজ শুরু করেছে।
সভায় কমনওয়েলথের পক্ষ থেকে বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের মত দক্ষিণ এশিয়ার স্বাস্থ্য পরিস্থিতি উন্নয়নে নানা ধরনের দিক নির্দেশনা উপস্থাপনা করা হয়। বিশেষ করে কীভাবে সার্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা কার্যক্রমের তহবিল ব্যবস্থাপনা, আন্তঃদেশীয় সেবা পরিচালনা, অসংক্রামক রোগে মহামারি ঠেকানোর কৌশল নির্ধারণে কমনওয়েলথ এর সহযোগিতা গ্রহণ ও সমন্বয় সাধন, সাফল্য অর্জন, পারস্পরিক নেটওয়ার্ক তৈরি, উপকরণ ও স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রিক উদ্ভাবনী কার্যক্রম পরিসঞ্চলনসহ বিভিন্ন বিষয়ে কর্মকৌশল নির্ধারণ করা হয়।
আরও পড়ুন :
জেএইচ
মন্তব্য করুন