• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

কোটা বাতিলের প্রজ্ঞাপন দাবিতে বিক্ষোভ চলছে

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ১৪ মে ২০১৮, ১৩:০১

কোটা বাতিলের প্রজ্ঞাপন দাবিতে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীরা অনির্দিষ্টকালের জন্য পরীক্ষা ও ক্লাস বর্জন করে অবস্থান ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। সোমবার সকাল ১১টা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে একটি বিক্ষেভ মিছিল শুরু হয়। মিছিলে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।

সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘিরে ১৫০ জন ভলান্টিয়ার কাজ করছেন। এর বাইরে বিশৃঙ্খলা করলে তার দায় নেবেন না তারা। দুষ্কৃতকারী পেলেই প্রশাসনের হাতে তুলে দেবেন তারা।

এদিকে সকাল থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীরা শাটল ট্রেন অবরোধ করে আন্দোলন করছেন।

আন্দোনকারীরা জানান, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে তারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে সকাল থেকে নগরের ষোলশহর স্টেশনে অবস্থান নেন। সকাল ৮টার শাটল ট্রেনটি ছেড়ে যেতে চাইলে তারা বাধা দেন। ফলে সকাল থেকে কোনো শাটল ট্রেন বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে ছেড়ে যায়নি।

এদিকে নগরীর ষোলশহর রেলস্টেশনের স্টেশনমাস্টার সাহাব উদ্দিন আরটিভি অনলাইনকে জানিয়েছেন, ছাত্রছাত্রীদের অবরোধের কারণে সকাল ৮টার শাটল ট্রেন যাত্রা করেও যেতে পারেনি। এরপর থেকে শাটল ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।

এছাড়া জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী, কুমিল্লা, খুলনা, বরিশাল, নোয়াখালীসহ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্লাস পরীক্ষা বর্জন করে আন্দোলন করছে কোটাবিরোধী শিক্ষার্থীরা।

সোমবার সকাল থেকে দেশের সব কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য সব ধরনের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ডাক দিয়েছে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। রোববার দুপুর ১টা ১০ মিনিটে টিএসসিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হাসান।

এসময় সংগঠনটির যুগ্ম-আহ্বায়ক নুরুল হক বলেন, আমরা অনেকদিন ধরে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করে আসছি। ৩২দিন পার হলেও এখনও প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়নি। আমাদের সঙ্গে সরকার ওয়াদা করেছে ৭ মের মধ্যে প্রজ্ঞাপন হবে। কিন্তু সেই প্রজ্ঞাপন এখনও জারি করা হয়নি। প্রধানমন্ত্রী সংসদে দাঁড়িয়ে ঘোষণা করেছেন কোটা থাকবে না। তার কথাই অলিখিত আইন। কিন্তু এরপরও আমরা শুনছি, এখন কমিটি করা হয়েছে। আমরা আর অপেক্ষা করতে চাই না।

এদিকে রোববার সকালে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্য বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোটা বাতিলের ঘোষণা দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর কথার ওপরে বিশ্বাস রাখা উচিৎ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেটা বলেন, সেটা তিনি করেন। প্রধানমন্ত্রীর কথা নড়চড় হয় না। অনেকগুলো কোটা আছে। এগুলো সমন্বিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কাজ থেমে নেই। আন্দোলনের প্রয়োজন নেই।

গত ৮ এপ্রিল থেকে টানা পাঁচদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের প্রায় সব পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করেন শিক্ষার্থীরা। কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১১ এপ্রিল জাতীয় সংসদে কোটাব্যবস্থা বাতিলের কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কোটা নিয়ে যখন এতোকিছু, তখন কোটাই থাকবে না। কোনো কোটারই দরকার নেই। যারা প্রতিবন্ধী ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, তাদের আমরা অন্যভাবে চাকরির ব্যবস্থা করে দেব।

এমসি/পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
গণবিজ্ঞপ্তির আগেই বদলির প্রজ্ঞাপনের দাবিতে শিক্ষকদের মানববন্ধন
বকেয়া বেতনের দাবিতে পাকিস্তানে শিক্ষকদের বিক্ষোভ
বৈষম্যমূলক পেনশন প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবি হাবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির
জাবিতে শিক্ষার্থী কল্যাণ ফি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল
X
Fresh