বিশ্বের প্রভাবশালী ১০০ জনের তালিকায় শেখ হাসিনা
বিশ্বের প্রভাবশালী ১০০ জন ব্যক্তির তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিশ্বখ্যাত ‘টাইম ম্যাগাজিন’ প্রতিবছরের মতো এবারও বিশ্বের প্রভাবশালীদের তালিকা প্রকাশ করে।
আজ বৃহস্পতিবার এ তালিকা প্রকাশ করা হয়।
তালিকায় রাজনৈতিক ব্যক্তিদের মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ, জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে, উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং-উন, সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের নামও রয়েছে।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : শেখ হাসিনার নেতৃত্বের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করলেন ট্রুডো
--------------------------------------------------------
অন্যদিকে বলিউড অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রখ্যাত টিভি ব্যক্তিত্ব অপরাহ উইনফ্রে, ব্রিটিশ রাজপরিবারের সদস্য প্রিন্স হ্যারি ও হবু রাজবধূ মেগান হ্যারি, বিশ্বের আলোচিত টেনিস খেলোয়াড় সুইজারল্যান্ডের রজার ফেদেরার, ভারতের ক্রিকেট দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলি, মার্কিন অভিনেত্রী-সংগীতশিল্পী জেনিফার লোপেজেও তালিকায় স্থান পেয়েছেন।
তালিকায় একশ জনের মাঝে রাজনৈতিক ব্যক্তি ২৭ জন। আর তাদের মাঝে শেখ হাসিনার অবস্থান ২১।
তালিকায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রোফাইল লিখেছেন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক পরিচালক মীনাক্ষী গাঙ্গুলি।
তিনি লিখেছেন, শেখ হাসিনার সঙ্গে আমার সাক্ষাৎ হয়েছিল ১৯৯০ সালে। যখন তিনি বাংলাদেশে সামরিক শাসন অবসানের লক্ষ্যে ব্যাপক প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। আমাদের সর্বশেষ দেখা হয় ২০০৮ সালে। যখন দেশটিতে তিনি আবারও সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে কাজ করছিলেন। একই বছরে তিনি নির্বাচনে ভূমিধস জয় পেয়ে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন।
তিনি আরও লিখেছেন, তার বাবা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দেন; উত্তরাধিকারী হিসেবে শেখ হাসিনা লড়াই করতে কখনো ভয় পাননি। গত বছরের আগস্টে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী নৃশংস হত্যাযজ্ঞে যখন লাখ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশে প্রবেশ করে। তখন তিনি এই রোহিঙ্গা ঢলকে মানবিক চ্যালেঞ্জ হিসেবে নেন।
মীনাক্ষী গাঙ্গুলি লিখেছেন, অতীতে কখনোই রোহিঙ্গাদের ব্যাপক স্রোত বাংলাদেশে ঢুকতে দেয়া হয়নি। কিন্তু তিনি জাতিগত নিধনের শিকার রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে মুখ ফিরিয়ে নেননি। এজন্য শেখ হাসিনা প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য।
আরও পড়ুন :
- প্রবাসীদের ভোটের ক্ষেত্রে দ্বৈত নাগরিকত্বই প্রধান সমস্যা : সিইসি
- ‘দুজন মুখ চেপে ধরে, আরেকজন পা বাঁধা শুরু করলো'
এমকে
মন্তব্য করুন