তিন কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীকে তুলে নেয়ার অভিযোগ
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী তিন কেন্দ্রীয় নেতাকে রাজধানীর চানখাঁরপুল থেকে তুলে নেয়ার অভিযোগ করেছে সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। যাদের তুলে নেয়া হয়েছে তারা হলেন যুগ্ম-আহ্বায়ক রাশেদ খান, নুরুল হক নুর ও ফারুক হোসেন।
ফেসবুক গ্রুপে সাধারণ ছাত্র সংগঠনের গ্রুপ কোটা সংস্কার চাই (সকল ধরনের চাকরির জন্য)এ পোস্টে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক শাকিল বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সংবাদ সম্মেলন শেষে যাওয়ার পথে চানখাঁরপুলের সামনে থেকে রাশেদ ভাই, ফারুক ভাইসহ কিছু কেন্দ্রীয় নেতাকে এক দল লোক প্রাইভেটকারে তুলে নিয়ে গেছে।
তার এ পোস্ট প্রকাশ হওয়ার পর থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীরা জোট হচ্ছেন। কেউ বলছেন সবাই পাবলিক লাইব্রেরির সামনে আসেন। আর বসে থাকা যাবে না।
এক ফেসবুক পোস্টে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আরেক নেতা দীন মোহাম্মদ বলেন, ১ ঘণ্টার মধ্যে রাশেদ ও ফারুককে ফিরিয়ে দিতে হবে।
এ গ্রুপে নুরুল হক নুর নামে আরেক আন্দোলনকারী বলেন, আপনাদের ভাইদের ওরা শিবির বানিয়ে গুম করতে চায়। যাতে আর কেউ আন্দোলন করার সাহস না পায়।
মো. রাতুল সরকার নামের আরেক আন্দোলনকারী বলেন, আপনাদের ন্যায্য দাবি আদায়ে জীবন বাজি রেখে যারা সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তারা আজ বিপদের মুখে।সময় এসেছে ভাইদের ঋণ পরিশোধ করার।আপনাদেরই তা করতে হবে।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : ‘দুই দিনের মধ্যে মামলা প্রত্যাহার না হলে ফের আন্দোলন’
--------------------------------------------------------
ইবানা আকতার নামে আরেক আন্দোলনকারী বলেন, আমার ভাইদের কিছু হলে ফলাফল ভালো হবে না। সংস্কারের নামে, মাইনাস থিওরি এপ্লাই হচ্ছে?
এদিকে আজ সোমবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও পুলিশের পক্ষ থেকে যে মামলাগুলো করা হয়েছে তা আগামী দুই দিনের মধ্যে প্রত্যাহার করা না হলে ফের আন্দোলনে নামবেন শিক্ষার্থীরা। কেন্দ্রীয় কমিটির বিরুদ্ধে একটি কুচক্রীমহল জামায়াত-শিবির পরিচয় দিতে উঠেপড়ে লেগেছে। এটি পুরোপুরি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আন্দোলন ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য এটি করা হচ্ছে। আন্দোলনকারী নেতাকর্মীদের হয়রানি করলে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
এসময় সংগঠনটির আহ্বায়ক হাসান আল মামুন, যুগ্ম-আহ্বায়ক নুরুল্লাহ নূর, ফারুক আহমেদ, রাশেদ খানসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
কোটা পদ্ধতির সংস্কারের দাবিতে বেশ কিছুদিন সারাদেশে আন্দোলন করে আসছিলেন শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় পুলিশ অনেককে গ্রেপ্তার করেছে। অনেকে আহত হয়েছেন। ১১ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোটা পথা তুলে দেয়া হবে বলে সংসদে ঘোষণা দেন। এরপরের দিন তারা আন্দোলন তুলে নেন।
এমসি/পি
মন্তব্য করুন