• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ০৯ এপ্রিল ২০১৮, ১২:২৫

কোটা সংস্কারের দাবিতে শাহবাগে অবস্থানরত আন্দোলনকারীদের উপর হামলার প্রতিবাদে সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করেছেন শিক্ষার্থীরা। আজ সোমবার সকাল থেকে তারা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করেছেন।

শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করে বলেন, পাঁচ দফার বিষয়ে পরিষ্কার ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত আমরা ক্লাস করবো না। আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। আশ্বাস চাই না আমাদের দাবি মানতে হবে। ৫২,৬৯,৭১,৯০ এর জন্মদাতা ছাত্ররা। তাদের বুলেটের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। বন্দুকের নলকে বাঙালি পরোয়া করে না।

নাম প্রকাশ না করে আন্দোলনকারী এক শিক্ষার্থী বলছেন, বর্তমানে দেশের অধিকাংশ মানুষ কোটা পদ্ধতি সংস্কারের পক্ষে। সবার মুখে একই কথা, কোটা পদ্ধতি নিয়ে নতুন করে ভাবনার সময় এসেছে। বর্ধিত জনসংখ্যাকে জনসম্পদে পরিণত করতে কোটা পদ্ধতির পরিবর্তন, পরিমার্জন এখন বাধ্যতামূলক হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশের মেধাবীদের সুযোগ করে দিতে এবং আন্তর্জাতিক পরিসরে দেশের ভাবমূর্তি রক্ষা করতে মেধাবীদের সুযোগ দেয়া আবশ্যক।

--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : হত্যার উদ্দেশ্যেই বাসভবনে হামলা: উপাচার্য
--------------------------------------------------------

ঢাবির বাংলা বিভাগের অপর এক শিক্ষার্থী বলেন, কোটা পদ্ধতির কারণে মেধাবীরা আজ হতাশ। দেশের সমৃদ্ধি ও উন্নয়নে কোটা পদ্ধতির ক্ষেত্রে সংস্কার অপরিহার্য। কোটা দিয়ে যারা সহজে সুযোগ পেয়েছে বা পাচ্ছে, তারা প্রায়ই অযোগ্য ও কম মেধাসম্পন্ন। তারা যদি সত্যিকার অর্থে মেধাবী হয়ে থাকে, তবে তাদের তো কোটা পদ্ধতির আশ্রয় নেয়ার প্রয়োজন পড়ে না। যথাযথ প্রতিযোগিতার মাধ্যমেই মেধার পরিচয় দেয়া বাঞ্ছনীয়। তা না করে উত্তরাধিকার সূত্রে বা অন্য কোটার ভিত্তিতে সহজে সুযোগ পাওয়া নিশ্চিতভাবেই তাদের মেধার প্রতি অবিচারের শামিল, অসম্মানও বটে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বলছেন, ক্লাস তো দূরের কথা, আমরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের (১৪-১৫) তৃতীয় বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষা বাতিল করছি। আমার ভাইয়েরা মার খাবে আর আমরা পরীক্ষায় বসবো এটা কখনও হতে পারে না।

দুপুর থেকে শাহবাগে অবস্থানরত চাকরিপ্রার্থী এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপর রাত ৮টার দিকে লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল ছুঁড়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ।

পুলিশের রাবার বুলেটে আবু বকর সিদ্দিক নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থী চোখে গুরুতর আঘাত পেয়েছেন। অজ্ঞাত এক শিক্ষার্থীর বুকে গুলি লেগেছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। ৫০ জন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। ১৫ থেকে ২০ জনের আঘাত গুরুতর। পুলিশ অনেককে গ্রেপ্তার করেছে।

কোটা পদ্ধতির সংস্কারের দাবিতে বেশ কিছুদিন ধরে সারাদেশে আন্দোলন করছে শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনকারীদের পাঁচ দফা দাবি হচ্ছে-সরকারি নিয়োগে কোটার পরিমাণ ৫৬ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করা, কোটার যোগ্য প্রার্থী না পেলে শূন্যপদে মেধায় নিয়োগ, কোটায় কোনো ধরনের বিশেষ নিয়োগ পরীক্ষা না নেয়া, সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে অভিন্ন বয়সসীমা, নিয়োগ পরীক্ষায় একাধিকবার কোটার সুবিধা ব্যবহার না করা।

কোটা আন্দোলনে সমর্থন জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, দিনাজপুর হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে আন্দোলনে অংশ নেয়।

আরও পড়ুন :

এমসি/পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
শিক্ষকের বিরুদ্ধে সেই ছাত্রীর অভিযোগে যা বললেন ডিবিপ্রধান
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য অধ্যাপক আবু তাহের
জাবিতে নতুন প্রক্টর আলমগীর কবীর
জাবিতে শিক্ষার্থী কল্যাণ ফি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল
X
Fresh