• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo

শেখ হাসিনাই শেষ কথা!

আতিকা রহমান

  ২৩ অক্টোবর ২০১৬, ১৮:৫৭

কাউন্সিলে নতুন নেতৃত্ব আনার ইচ্ছা প্রকাশ করলেও দলের নেতাকর্মীদের ভালোবাসা ও সমর্থনে ফের দলের কান্ডারি নির্বাচিত হলেন শেখ হাসিনা। নেতাকর্মীদের ভালোবাসার কাছে হার মানলেন, নৌকার হাল ধরলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। ১৯৮১ সালে দলের দায়িত্ব নেন। এরপর টানা ৩৫ বছর সফলতার সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী ও দেশের প্রাচীনতম রাজনৈতিক দলটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। শুধু দেশে নয়, শেখ হাসিনার বিচক্ষণ ও দূরদর্শী নেতৃত্ব সমাদৃত হয়েছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও।

৭৫’র ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যার পর জেল-জুলুম, অত্যাচার, নির্যাতন, নিপীড়নের শিকার হন আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা। তৈরি হয় নানা সংকট, দ্বিধা-বিভক্ত হয়ে পড়ে দল। এ সংকটময় পরিস্থিতিতে নির্বাসিত জীবনে ভারতে অবস্থানকালে ১৯৮১ সালে দলের সভাপতির দায়িত্ব পান শেখ হাসিনা। ওই বছরের ১৭ মে দেশে ফিরে আনুষ্ঠানিকভাবে দলের দায়িত্ব নেন। এরপর টানা ৭টি সম্মেলনে ৭ বার দলের সভাপতি নির্বাচিত হন তিনি।

নেতৃত্বের দিক থেকে শেখ হাসিনা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকেও ছাড়িয়ে গেছেন। বঙ্গবন্ধু ২৫ বছর আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দিয়েছেন। আর শেখ হাসিনা সফলতার সঙ্গে দলের কান্ডারি হয়ে আছেন ৩৫ বছর।

৩৫ বছরের বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন কখনোই মসৃন ছিল না, নানা ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে পার হতে হয়েছে। ১৯৮৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি এরশাদ সরকার তাকে ১৫ দিন কারাবন্দী রাখেন। ১৯৮৪ সালের ফেব্রুয়ারি এবং নভেম্বরে ২ বার গৃহবন্দী হন শেখ হাসিনা। এরপর ৮৫, ৮৬, ৮৭, ৮৯, ৯০’এ প্রেপ্তার হন তিনি।

সবশেষ ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই তত্ত্বাবধায়ক সরকার তাকে গ্রেপ্তার করে সংসদ ভবন চত্বরে সাবজেলে পাঠায়। ২০০৮ সালের ১১ জুন মুক্তি পান তিনি।

রাজনীতির দীর্ঘ পথচলায় প্রায় ১৯ বার সশস্ত্র হামলা হয় তার ওপর। সবচেয়ে ভয়াবহ হামলার শিকার হন ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট। বঙ্গবন্ধু এভিনিউ-এ জনসভায় বক্তব্য শেষের পরপরই শেখ হাসিনাকে লক্ষ্য করে গ্রেনেড হামলা হয়। সেই হামলায় তিনি প্রাণে রক্ষা পেলেও মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আইভি রহমানসহ দলের ২৪ নেতাকর্মী নিহত এবং ৫শ’র বেশি মানুষ আহত হন।

এভাবেই নানা চড়াই উৎরাই পেরিয়ে জীবন বাজি রেখে শেখ হাসিনা দলকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। তাই তো দলের নেতাককর্মীরাও নেত্রীর ওপর বারবার আস্থা রেখেছেন।

শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বেই আওয়ামী লীগ ৩ বার সরকার গঠন করতে সক্ষম হয়েছে। তার সফল নেতৃত্বের কারণেই আওয়ামী লীগ এখন সবচেয়ে ঐক্যবদ্ধ রাজনৈতিক দল।

শেখ হাসিনার এ নেতৃত্ব শুধু দেশেই নয়, প্রশংসিত হয়েছে বিশ্ব দরবারে। বিশ্বের সফল নেতাদের তালিকায় অন্যতম একজন শেখ হাসিনা। বিভিন্ন সময়ে আন্তর্জাতিক চাপ সামলিয়েও বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছেন তিনি। বৈরিতা নয়, সবার সঙ্গে বন্ধুতা-এ নীতিতে থেকে একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক হিসেবেও তিনি অনন্য।

সবশেষ ২০তম কাউন্সিলেও শেখ হাসিনা নতুন নেতৃত্ব আনার আহ্বান জানান। কিন্তু তৃণমূল থেকে কেন্দ্রীয় সব নেতাকর্মীদের শেখ হাসিনাতেই আস্থা। তার হাতেই নেতৃত্ব রাখতে চায় দল। তাই তো সব স্তরের নেতাকর্মীদের ভালোবাসা ও আস্থায় দলকে নেতৃত্ব দিয়ে নবোদ্যোমে দেশ গঠনের দৃঢ় প্রত্যয়ে শেখ হাসিনার যাত্রা।

ডিএইচ

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh