• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

কাদেরের বর্ণিল পথচলা

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ২৩ অক্টোবর ২০১৬, ১৮:২৬

দেশের বৃহৎ রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হলেন ওবায়দুল কাদের। ২০তম জাতীয় সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক পদে দলীয় কাউন্সিলররা তাকে নির্বাচিত করেন। কাদেরের সাধারণ সম্পাদক হবার পূর্বাভাস আগে থেকেই কর্মীদের মধ্যে শোনা যাচ্ছিলো। আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী ও সুসংগঠিত করতে সারাদেশে সাংগঠনিক সফর করেছেন তিনি। মাঠপর্যায়ের নেতা-কর্মীদের কাছেও পরিচিত মুখ ওবায়দুল কাদের।আবার ছাত্রলীগের অনেকের কাছে তিনি কাদের স্যার নামেই পরিচিত।

১৯৫২-এর ১ জানুয়ারি, নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ থানার বড় রাজাপুর গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন ওবায়দুল কাদের। বসুরহাট সরকারি এএইচসি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে প্রথম বিভাগে এসএসসি ও নোয়াখালী সরকারি কলেজ থেকে মেধা তালিকায় স্থান নিয়ে এইচএসসি পাশ করেন। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অনার্সসহ স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন।

কলেজ জীবন থেকে ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন ওবায়দুল কাদের। ১৯৬৯ সালে গণআন্দোলন ও ছাত্রদের ১১ দফা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। কোম্পানীগঞ্জ থানা মুজিব বাহিনীর (বিএলএফ) অধিনায়ক ছিলেন ওবায়দুল কাদের। রাজনৈতিক জীবনের বিভিন্ন সময়ে একাধিকবার কারাবরণ করতে হয় তাকে।

১৯৭৫ সালের পর দীর্ঘ আড়াই বছর কারাগারে ছিলেন। কারাগারে থাকা অবস্থায় তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন এবং পরপর দু’বার ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন।

১৯৯৬ সালের ১২ জুন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নোয়াখালী-৫ আসন থেকে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে যুব ক্রীড়া ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রাণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান।

এরপর ২০০২ সালের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন থেকে ২০০৯-এর সম্মেলন পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রথম যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন।

১/১১ পর তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে কাদের ২০০৭ সালের ৯ মার্চ জরুরি বিধিতে গ্রেফতার হয়ে ১৭ মাস ২৬ দিন কারাবরণ করেন। ২০০৮ সালের ৫ সেপ্টেম্বর তিনি জামিনে মুক্ত হন।

সংগ্রামী এ নেতা ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর পুনরায় দ্বিতীয়বারের মত নোয়াখালী-৫ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং তথ্য মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। ২০০৯ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে তিনি দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য নির্বাচিত হন। আওয়ামী লীগের সে মেয়াদের শেষ সময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী করেন। বর্তমানেও একই পদে বহাল আছেন তিনি।

এইচএম/এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh