সন্তানদের কোটার আওতায় আনায় মুক্তিযোদ্ধারা হেয় হচ্ছেন: ড. তোফায়েল আহমেদ
মুক্তিযোদ্ধারা মোটেই পিছিয়ে পড়া নন। তারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। তাদের সন্তানদের কোটার আওতায় আনায় তারা সামাজিকভাবে হেয় হচ্ছেন। বললেন স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ।
মঙ্গলবার বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে নাগরিক সংগঠন সুশাসনের জন্য নাগরিক(সুজন) আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে এসব কথা বলেন তিনি।
ড. তোফায়েল আহমেদ বলেন, চাকরিতে কোটা সংবিধান সম্মত। কিন্তু এটা হলো অনগ্রসর শ্রেণির জন্য। কোটা দেয়া হয় পিছিয়ে পড়াদের জন্য, দরিদ্র বা ক্ষীণকায়দের টিকিয়ে রাখতে।
চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা সম্পর্কে ব্যারিস্টার এম. আমীর-উল ইসলাম বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী নয়। তাই কোটার মাধ্যমে তাদের সন্তানদের চাকরিতে নিয়োগ দেয়া মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি অসম্মান করার সমান।
সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার(এসকে) সিনহার বিরুদ্ধে আনীত দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে ড. তোফায়েল আহমেদ বলেন, একজন বিচারপতিও মানুষ। তিনি দুর্নীতি করতেই পারেন। কিন্তু দুর্নীতিটা কী সেটা জনগণের জানার অধিকার আছে।
বর্তমানে আমরা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে আইন নয় বরং অর্ডারের অধীনে রয়েছি বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এসকে সিনহার পদত্যাগের বিষয়ে সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. কামাল হোসেন বলেন, একটি স্বাধীন দেশে একজন প্রধান বিচারপতিকে যেভাবে সরানো হয়েছে তাতে আমি উদ্বিগ্ন। এটা তারা করতে পারেন না।
তিনি আরও বলেন, সংবিধান কিংবা রাষ্ট্রবিরোধী এই কাজের বিরোধিতা হওয়া উচিত ছিল। আমি মনে করি এটা নিয়ে একটা ক্যাম্পেইন করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল, স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন, পরিবেশ আইনজীবী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, সাংবাদিক গোলাম মর্তুজাসহ আরও অনেকে।
কে/এসএস
মন্তব্য করুন