• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo

স্মরণকালের সেরা আয়োজন

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ২২ অক্টোবর ২০১৬, ১৯:৩৯

‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে চলেছি দুর্বার, এখন সময় বাংলাদেশের মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার’ এ স্লোগান নিয়ে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শুরু হয়েছে দু’দিনব্যাপী আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলন।

শনিবার সকাল ১০ টার কিছু পর সম্মেলন উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাপ্পা মজুমদারের সুরে সম্মেলনের থিম সং পরিবেশন করেন শিল্পীরা। দলীয় সঙ্গীত ও দেশাত্মবোধক গানের পর মূল আলোচনা শুরু হয়।

স্বাধীনতার পর দেশে কোনো রাজনৈতিক দলের এটিই সবচেয়ে বড় সম্মেলন। রাজধানীসহ সারাদেশ থেকেই দলটির নেতাকর্মীরা এতে যোগ দিয়েছেন। তাদের মধ্যে ব্যাপক উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যায়।

সম্মেলনকে কেন্দ্র করে পুরো ঢাকা নতুন রূপে সেজেছে। রাজধানীর প্রধান প্রধান সড়কগুলোতে লাগানো হয়েছে রঙিন বাতি। কয়েকটি জায়গায় ডিজিটাল বোর্ড স্থাপন করা হয়েছে। যেখানে বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ বাজানো হচ্ছে। এছাড়া রাজধানীর নানা জায়গায় তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে।

ঢাকার বাইরেও জেলা শহরগুলোতে সম্মেলনের উম্মাদনা দেখা গেছে। বড় শহরগুলোতেও আলোকসজ্জা ও তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে।

মঞ্চ তৈরিতেও মুন্সিয়ানা দেখিয়েছে আয়োজন কমিটি। নির্বাচনী প্রতীক নৌকার আদলে ১৬৫ ফুট দীর্ঘ মঞ্চ করা হয়েছে, যা দলটির ইতিহাসে এই প্রথম। মঞ্চের সৌন্দর্য দেশি বিদেশি সবাইকে মুগ্ধ করেছে।

ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার শেখ হাসিনা। আর আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনে ডিজিটালের ছোঁয়া থাকবে না তা কী হয় ? মঞ্চ, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও সেটি ছিল লক্ষণীয়। মঞ্চের পেছন ভাগে উপস্থিত সবার সুবিধার জন্য থ্রিডি বড় আকৃতির পর্দা লাগানো হয়। জাতীয় পতাকার আদলেই পুরো মঞ্চ লাল ও সবুজ রঙে রাঙানো হয়। মঞ্চে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবির সঙ্গে জাতীয় চার নেতার ছবি ও বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব ও শেখ রাসেলের ছবিও মঞ্চে শোভা পায়।

সম্মেলনে এবার সবচেয়ে বড় আকর্ষণ ছিল ফেসবুক লাইভ। আওয়ামী লীগের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে দিনব্যাপী সম্মেলন লাইভ করা হয়। টেলিভিশন চ্যানেলের পাশাপাশি সাধারণ মানুষ যেন খুব সহজে মোবাইল কিংবা কম্পিউটার বা ল্যাপটপে সম্মেলন দেখতে পারেন সেজন্যই এ ব্যবস্থা। ফেসবুকে লাইভ অনুষ্ঠানে অসংখ্য শুভাকাঙ্খী কমেন্টস করতে পেরেছেন। যা কোন রাজনৈতিক দলের সম্মেলনে এই প্রথম।

এছাড়া ফেসবুকে দেশ বিদেশের অতিথিদের বক্তব্য ও গুরুত্বপূর্ণ ছবি দেয়া হয়েছে। সেখানে অতিথিদের পরিচিতিও তুলে ধরা হয়। যা আয়োজনটিকে নতুন মাত্রা দিয়েছে।

শনিবার সন্ধ্যায় সম্মেলনের প্রথম আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়েছে। আয়োজক কমিটির প্রতিটি উপ-কমিটি নিজ নিজ অবস্থানে আপাতত সফল বলেই মনে করা হচ্ছে। সম্মেলনের কোথাও বিশৃঙ্খলা দেখা যায়নি। এতো বড় একটি আয়োজনের পুরো খরচ ব্যয় হয় দলীয় ফান্ড থেকেই। এবিষয়ে দলীয় প্রধানের কড়া নির্দেশ ছিল কোন চাঁদাবাজি হবে না, দলীয় বাজেট থেকেই সব খরচ শেষ করতে হবে। আয়োজক কমিটিও সে সক্ষমতা দেখিয়েছে। পুরোপুরি শৃঙ্খলা মেনে বড় রাজনৈতিক দলের সম্মেলনের আয়োজন যেকোন দলের জন্য অনুকরণীয় হয়ে রইলো।

এইচএম/এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh