• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

বাংলার মাটি সন্ত্রাসে ব্যবহার করতে দেয়া হবে না, থাকবে না দারিদ্র্য

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ২২ অক্টোবর ২০১৬, ১৬:৫২

আশপাশের কোনো দেশের সন্ত্রাসী তৎপরতার জন্য দেশের ভূখন্ড ব্যবহার করতে দেয়া হবে না। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের ২০তম সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

বাংলার মাটি সন্ত্রাসবাদে ব্যবহার করতে দেয়া হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, সবসময় সন্ত্রাসের প্রতি আওয়ামী লীগ সরকারের জিরো টলারেন্স থাকবে। কোনোভাবেই এদেশে সন্ত্রাসীরা প্রশ্রয় পাবে না। এদেশে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদের কোনো ঠাঁই নেই।

ভাষণের শুরুতে জাতীয় ৪ নেতা ও ৩০ লাখ শহীদকে স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী। তারপর সম্মেলনে আগত নেতা-কর্মী, কাউন্সিলর, বিদেশি প্রতিনিধিদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তৃতা শুরু করেন।

নিজেদের লক্ষ্যের কথা জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, দরিদ্র্যমুক্ত দেশ গড়াই আওয়ামী লীগ সরকারের লক্ষ্য।

হতদরিদ্র-গৃহহীনদের বেঁচে থাকার উপযোগী ব্যবস্থা নেয়ার প্রত্যয় জানান প্রধানসন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাদের সহায়তার জন্য দরিদ্র-গৃহহীনের তালিকা করতে তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিদের নির্দেশ দেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে একটি মানুষও না খেয়ে মরবে না-এটা আমাদের প্রতিজ্ঞা। এ লক্ষ্যে ব্যাপক কার্যক্রম বাস্তবায়ন চলছে। যাদের ঘরবাড়ি নেই, নি:স্ব যারা না খেয়ে থাকে-তাদের জন্য কাজ করতে তৃণমূল নেতাকর্মীদের তিনি নির্দেশ দেন।

শেখ হাসিনা বলেন, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এরইমধ্যে দেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। শিক্ষা-চিকিৎসা, তথ্য-প্রযুক্তি ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন ঘটেছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন আর স্বপ্ন নয়। প্রতিটি অঞ্চলের মানুষ এ সুবিধা ভোগ করছে। শিশুমৃত্যু, মাতৃমৃত্যুর হার কমেছে। স্কুল-কলেজ কম্পিউটারাইজড হয়েছে। যাতয়াত ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটেছে। আমরা ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিচ্ছি।

তিনি বলেন, উপমহাদেশের প্রাচীনতম সংগঠন ও রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ জন্মলগ্ন থেকেই মুক্তির সংগ্রাম করেছে। নানা সময়ে জুলুম নির্যাতন সহ্য করেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন দেখতেন দরিদ্র্য-ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশ। আওয়ামী লীগ সরকার সেই স্বপ্ন বরাবরই বাস্তবায়নের চেষ্টা করেছে। কিন্তু অন্যরা যখন ক্ষমতায় এসেছে তখন তা ভেস্তে গেছে। দেশের সব অর্জনই এসেছে আওয়ামী লীগ সরকারের হাত ধরে।

তিনি বলেন, সংবিধান ক্ষত-বিক্ষত করেছে সামরিক জান্তা। তারা শহীদদের সম্মান দেখায়নি। আর আওয়ামী লীগ সরকার সংবিধান সংশোধন করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ফিরিয়ে এনেছে। সংবিধান রক্ষা করাই আমাদের কাজ।

মানুষের মুক্তির জন্যই সংগ্রাম উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার এটা করতে বদ্ধপরিকর। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগণিত মানুষের ভালোবাসাই শক্তি যুগিয়েছে।

দল রক্ষায় তৃণমূল নেতাকর্মীদের ভূমিকা তুলে ধরে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের প্রাণশক্তি হচ্ছে তৃণমূল নেতাকর্মী। শত প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে তারা দলকে ধরে রেখেছেন।

নারীদের বিষয়ে তিনি বলেন, নির্বাচনে নারীর অংশগ্রহণ এখন নিশ্চিত। কর্মক্ষেত্রে নারী-পুরুষ কোনো বৈষম্য থাকবে না। এরইমধ্যে যুগোপযোগী নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে।

অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অর্থনীতি গতিশীল করাই আমাদের লক্ষ্য। একে এগিয়ে নিতে আমরা অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছি। যেখানে বিদেশিরা বিনিয়োগের সুযোগ পাবে। আমি আশাবাদী, ২০৪১ সালের মধ্যেই বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে।

দ্বিপক্ষীয় বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা হবে। প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে থাকবে গভীর সম্পর্ক। সর্বোপরি, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রক্ষা করা হবে।

সবশেষে সম্মেলনে আগত নেতা-কর্মী, কাউন্সিলর, বিদেশি প্রতিনিধিদের ধন্যবাদ জানান শেখ হাসিনা।

ডিএইচ/ এসজেড

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
চেন্নাইকে বিধ্বস্ত করে জয়ে ফিরলো লখনৌ
মারামারি কাণ্ডে মাঠ ছাড়ল মোহামেডান, জয়ী ঘোষণা আবাহনীকে
বিজয় নিয়ে আশাবাদী নিপুণ, ফল যা হোক মেনে নেবেন কলি
রজতজয়ন্তী মাহেন্দ্রক্ষণের অপেক্ষায় অধ্যাপক আবদুল মজিদ কলেজ
X
Fresh