‘গণহত্যা দিবসের স্বীকৃতি আদায়ে সরকার আগে উদ্যোগ নেয়নি’
‘২০০৯ সালে নির্বাচিত হওয়ার পর এই সরকার ২৫ মার্চকে আন্তর্জাতিক দিবসের স্বীকৃতি আদায়ে কাজ করলে এতদিনে আমরা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেতে পারতাম। কিন্তু কষ্টের বিষয় হচ্ছে, সরকার এ বিষয়ে কোনও উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। এরই মধ্যে জাতিসংঘ ৯ ডিসেম্বরকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে দিয়েছে।’
বললেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির।
রবিবার (২৫ মার্চ) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত ‘২৫ মার্চ গণহত্যা’ শীর্ষক গোলটেবিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন: আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ থেকে তাপসের পদত্যাগ
--------------------------------------------------------
শাহরিয়ার কবির বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে যে গণহত্যা হয়েছিল তার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়া কিছুটা জটিল, এর জন্য দায়ী পাকিস্তান। আমরা চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু জাতিসংঘের প্রশ্ন ছিল, আপনাদের দেশে কি এ দিবস পালন করা হয়? আমরা এ প্রশ্নের কোনও জবাব দিতে পারিনি।
তিনি বলেন, আমাদের দেশেই গত বছর থেকে ২৫ মার্চকে জাতীয় দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। এখন ৯ মাসে বাংলাদেশের গণহত্যার স্বীকৃতি নেওয়া যেতে পারে। তবে এজন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে। সতর্কও থাকতে হবে। কারণ পাকিস্তানের কারণে এ স্বীকৃতি পাওয়া কিছুটা জটিল হবে।
তিনি বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধা সংসদের বুঝতে হবে যে, এ বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। এ গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেতে সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াবে পাকিস্তান। কারণ জাতিসংঘে তাদের ৬৩ আসন রয়েছে আর বাংলাদেশের ২৩টি।’ তাই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ভারতের সহযোগিতা নেয়ার আহ্বান জানান শাহরিয়ার কবির।
গোলটেবিল আলোচনায় বক্তব্য রাখেন ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও দৈনিক যুগান্তরের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সাইফুল আলম, দৈনিক জনকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক স্বদেশ রায়, জাতীয় প্রেস ক্লাবের কোষাধ্যক্ষ কার্তিক চ্যাটার্জি প্রমুখ।
আরও পড়ুন:
এসজে/পি
মন্তব্য করুন