• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

২৬ পরিবারকে এক পরিবার করেছে নেপাল ট্র্যাজেডি

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ২০ মার্চ ২০১৮, ১৯:০৭

আমরা সবাই একটি অনেক খারাপ অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে গিয়েছি। দুর্ঘটনার পরদিনই আমি নেপাল চলে যাই। তারপর থেকেই নেপালে আসা নিহত বাংলাদেশিদের স্বজনেরা একটি পরিবারের মতো হয়ে যায়। আরটিভি অনলাইনকে বললেন, দুর্ঘটনায় নিহত আঁখি মনির (জেসি) বন্ধু রিয়াজ হাসান।

নেপালে পৌঁছার পর আহত ও নিহতদের স্বজনেরা দুই ভাগে ভাগ হয়ে যান। যেহেতু আহতদের অন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাই তাদের স্বজনেরা সেসব হাসপাতালে ছুটেছেন।

আর আমার মতো যাদের স্বজন নিহত হয়েছেন তারা সবাই সারাদিনই অপেক্ষা করে থাকতাম টিসি হাসপাতালের মর্গের সামনে।

সবাই সারাদিন অপেক্ষা করতাম মহদেহ শনাক্ত হয়েছে কিনা বা কোন আপডেট আছে কিনা সেটা জানার জন্য।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন: উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় আহতদের ৩ জনের অবস্থা সংকটাপন্ন
--------------------------------------------------------

রিয়াজ হাসান বলেন, নেপালে বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে আমাদের তেমন কোন সহযোগিতা করা হয়নি। তাদের চেয়ে বেশি সহযোগিতা করেছেন ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের কর্মকর্তা কর্মচারীরা।

নেপালে আহত নিহতদের স্বজনদের কয়েকজন মিলে একটি ফেসবুক গ্রুপ খুলেছেন জানিয়ে রিয়াজ বলেন, নিজেদের মধ্যে খোঁজ খবর নিতে ও সুখ-দুঃখ শেয়ার করতেই এই গ্রুপ করা হয়েছে। এখনো সবাইকে যুক্ত করা সম্ভব হয়নি।

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের কেবিন ক্রু শারমিন নাবিলার ভাসুর বাবুল জানান, এতগুলো তাজা প্রাণ ঝরে গেল। এই কষ্ট তো কখনোই শেষ হবার নয়। কিন্তু তারপরও, জীবন তো থেমে থাকে না। নিজের কষ্টের কথা অন্য কাউকে বললে অমোচনীয় ক্ষতের যন্ত্রণাটি একটু হলেও উপশম পায়।

তিনি বলেন, নেপালের বিমান দুর্ঘটনায় নিহতরা তারার দেশেও নিশ্চয় এক পরিবার হয়েই থাকছেন। আর তাদের দেখানো পথেই হয়তো হাটছেন স্বজনেরা।

আরও পড়ুন:

কেএইচ/ এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
নিয়োগ দেবে ইউএস-বাংলা, সাপ্তাহিক ছুটি ২ দিন
এসএসসি পাসে ইউএস-বাংলায় চাকরি, লাগবে না অভিজ্ঞতা
ইউএস-বাংলায় নিয়োগ, আবেদন অনলাইনে
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসে চাকরি, নেবে একাধিক জন
X
Fresh