কান্নায় ভারি হয়ে উঠছে আর্মি স্টেডিয়াম
নেপালের কাঠমান্ডু থেকে নিয়ে আসা হচ্ছে ইউএস-বাংলা বিধ্বস্তে নিহত বাংলাদেশি ২৩ জনের মরদেহ। বিমান বাহিনির একটি বিশেষ উড়োজাহাজে করে তাদের আনা হচ্ছে।
আজ সোমবার (১৯ মার্চ) বিকেল চারটায় ঢাকার বনানীস্থ আর্মি স্টেডিয়ামে মরদেহের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানানো হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাতে অংশ নেবেন। সে লক্ষ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে আর্মি স্টেডিয়াম। একে একে সেখানে উপস্থিত হচ্ছেন নিহতের স্বজনরা। যতোই উপস্থিত হচ্ছেন চেনা-জানা-পরিচিত-বন্ধু-স্বজনরা, ততোই কান্নায় ভারি হয়ে উঠছে আর্মি স্টেডিয়াম।
নিহতদের নিয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিভিআইপি টারমাক-১ এ অবতরণ করবে বিমানটি। সেখান থেকে মরদেহগুলো নেওয়া হবে আর্মি স্টেডিয়ামে।
এদিকে সকাল ৯টার দিকে নেপালে বাংলাদেশ দূতাবাসে নিহতদের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে নিহতদের স্বজন, প্রবাসী বাংলাদেশি, কূটনীতিকরা ও দূতাবাসের কর্মকর্তারা অংশ নেন। জানাজার সময় নিহতের স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন: বিচারের আগে ও পরে শিশুদের ছবি প্রকাশ করা যাবে না
--------------------------------------------------------
নেপালে শনাক্ত হওয়া বাংলাদেশিরা হলেন— রফিক উজ্জামান, সানজিদা হক ও তাদের আট বছরের ছেলে অনিরুদ্ধ জামান, তাহিরা তানভীন শশী, মিনহাজ বিন নাসির, রকিবুল হাসান, মতিউর রহমান, আখতার বেগম, হাসান ইমাম, তামারা প্রিয়ম্মী, এস এম মাহমুদুর রহমান, বিলকিস আরা, সাংবাদিক ফয়সাল আহমেদ, নুরুজ্জামান, বিমানটির ক্যাপ্টেন আবিদ সুলতান, কো-পাইলট পৃথুলা রশীদ, কেবিন ক্রু খাজা সাইফুল্লাহ, বেগম হারুন নাহার বিলকিস বানু, নাজিয়া আফরিন চৌধুরী, আঁখি মনি, এফএইচ প্রিয়ক, উম্মে সালমা ও শারমিন আখতার নাবিলা।
এছাড়া আলিফুজ্জামান, পিয়াস রায় ও মো.নজরুল ইসলাম মরদেহ শনাক্ত করা যায়নি।
উল্লেখ্য, গত সোমবার (১২ মার্চ) কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলার উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে ২৬ বাংলাদেশিসহ ৫১ জন নিহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন:
পি
মন্তব্য করুন