• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo

নেপালে ইউএস-বাংলার বিমান দুর্ঘটনা

দেশে ফিরেছেন এ্যানি, স্বর্ণা ও মেহেদী

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ১৬ মার্চ ২০১৮, ১৬:২৯

নেপালের কাঠমান্ডুতে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্তে আহত মেহেদী হাসান, আলমুন নাহার এ্যানি ও সৈয়দা কামরুন্নাহার স্বর্ণা দেশে ফিরেছেন। আজ শুক্রবার বিকেলে একই পরিবারের এই তিন সদস্যকে চিকিৎসার জন্য দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার দেশে ফিরেছেন শেহরিন আহমেদ।

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাদের সরাসরি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। শুক্রবার বাংলাদেশ বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইটে তাদের ঢাকায় আনা হয়।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী এ কে এম শাহজাহান কামাল তাদের রিসিভ করেন।

কাঠমান্ডু মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন ছিলেন এই তিনজন। তাদের দেশে আসার জন্য নেপালের চিকিৎসকরা ছাড়পত্র দিয়েছেন।

নেপালের ত্রিভুবন বিমানবন্দরে ১২ মার্চ বিধ্বস্ত হওয়া ইউএস-বাংলার বিমানে গাজীপুরের শ্রীপুরের নগর হাওলা গ্রামের পাঁচ সদস্য ছিলেন। তারা সম্পর্কে আত্মীয়। এরা হলেন- মেহেদী হাসান, তার স্ত্রী সৈয়দা কামরুন্নাহার স্বর্ণা এবং ফারুক আহমেদ ও তার স্ত্রী আলমুন নাহার এ্যানি, শিশু সন্তান প্রিয়ন্ময়ী তামারা। তাদের মধ্যে মারা যান ফারুক আহমেদ ও তার শিশু সন্তান প্রিয়ন্ময়ী তামারা।

--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন: নেপালে হতাহতদের স্মরণে দোয়া ও প্রার্থনা
--------------------------------------------------------

বেঁচে যাওয়া দশ বাংলাদেশির মধ্যে কাঠমান্ডুর ওম হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়া রিজওয়ানুল হককে বুধবার সিঙ্গাপুরে নিয়ে যান তার বাবা মোজাম্মেল হক।

বৃহস্পতিবার বিকেলে ইয়াকুব আলী নামে আহত এক যাত্রীকে কাঠমান্ডু থেকে দিল্লিতে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।

১২ই মার্চ ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহত হন ৫১ জন। ওই ঘটনায় আহত হন আরও ২০ জন।

এদিকে নেপালের কাঠমান্ডুতে ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্তে নিহতদের আত্মার মাগফেরাত ও আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করে আজ শুক্রবার সারাদেশে বিশেষ দোয়া ও প্রার্থনা করা হয়েছে।

এছাড়া নিহতদের স্মরণে বৃহস্পতিবার সারাদেশে সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও ভবনে এবং বিদেশে বাংলাদেশের সব মিশনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রেখে জাতীয় শোক পালন করা হয়। পাশাপাশি কালো ব্যাজ ধারণ করা হয়।

আরও পড়ুন:

এমসি/পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
মিয়ানমার থেকে দেশে ফিরলেন ১৭৩ বাংলাদেশি
ডিএনসিসির সঙ্গে চীনের আনহুই প্রদেশের সমঝোতা স্মারক সই
তাপপ্রবাহে ‘অতি উচ্চঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ
মিয়ানমারের কারাগার থেকে দেশে ফিরলেন ১৭৩ বাংলাদেশি
X
Fresh