টিক্কা খানের শপথ পরিচালনা না করার সিদ্ধান্ত নেন হাইকোর্টের বিচারপতিরা
৯ মার্চ, ১৯৭১ একাত্তর। ঘরে ঘরে উড়তে থাকে বাংলাদেশের মানচিত্র খচিত লাল সবুজের পতাকা। অন্যদিকে, পল্টন ময়দান থেকে মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়াকে ২৫ মার্চের মধ্যে বাঙালিকে মুক্ত করার অল্টিমেটাম দেন। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে টিক্কা খানের শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা না করার সিদ্ধান্ত নেন ঢাকা হাইকোর্টের বিচারপতিরা।
মুক্তিসংগ্রামের উত্তাল সমুদ্রে ভেসে বেড়াচ্ছে গোটা দেশ। বঙ্গবন্ধুর দেয়া কর্মসূচি অনুযায়ী, দেশজুড়ে পালিত হরতালে বন্ধ থাকে সচিবালয়সহ, সব সরকারি, আধা-সরকারি অফিস, জেলা ও উচ্চ আদালত।
এদিকে, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের পর থেকে রাজশাহী শহরে আট ঘণ্টার কারফিউ জারি করে পাকিস্তানি সামরিকজান্তা।
এদিন সকালে মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, আওয়ামী লীগ ও ন্যাপ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। এখান থেকেই জাতীয় সরকার গঠনে বঙ্গবন্ধুর প্রতি আহ্বান জানানো হয়। বিকেলে পল্টন ময়দানের জনসভায় মওলানা ভাসানী প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানকে ২৫ মার্চের মধ্যে সাত কোটি বাঙালিকে স্বাধীনতা দেয়ার আলটিমেটাম দেন।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন :বাংলাদেশের সঙ্গে বিমান যোগাযোগে আগ্রহী আসাম
--------------------------------------------------------
অন্যদিকে, জাতিসংঘ মহাসচিব উথান্ট এবং জাপানের পররাষ্ট্র দপ্তর ঢাকা থেকে তাদের কর্মকর্তা-কর্মচারি ও পরিবারের সদস্যদের প্রত্যাহারের সিন্ধান্ত নেয়।
এদিকে, কিছুদিনের মধ্যেই প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া ঢাকায় আসবেন বলে সরকারিভাবে ঘোষণা দেয়া হয়।
এদিনই জামায়াতের প্রাদেশিক আমির গোলাম আযম এক বিবৃতিতে দেশকে চরম বিপর্যয় থেকে রক্ষায় ইয়াহিয়ার প্রতি আহ্বান জানান। অন্যদিকে, বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে টিক্কা খানের শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা না করার সিদ্ধান্ত নেন ঢাকা হাইকোর্টের বিচারপতিরা।
আরও পড়ুন :
- প্রশ্নপত্র ফাঁসকারীদের ফায়ারিং স্কোয়াডে দেওয়া উচিত: বি. চৌধুরী
- জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবেলায় বাংলাদেশ পাচ্ছে ৩২০ কোটি টাকা
জেএইচ
মন্তব্য করুন