ঠাঁই নেই ঠাঁই নেই
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার কবিতায় বলেছিলেন, 'ঠাঁই নাই, ঠাঁই নাই- ছোটো সে তরী. আমারি সোনার ধানে গিয়েছে ভরি।' শুক্রবার বইমেলার প্রাঙ্গণ ও এর আশপাশ জুড়ে বিপুল মানুষের উপস্থিতি সে কথাই বারবার মনে করিয়ে দিচ্ছিল।
লোকসমাগমের পাশাপাশি হয়েছে বেচাবিক্রিও। শুক্রবার পাঠক, লেখক ও দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে গ্রন্থমেলা প্রাঙ্গণ। এদিন বইমেলায় তরুণ-তরুণীদের উপস্থিতি ছিল কল্পনাতীত। শেষ দিকে এসে মেলা জমে উঠেছে। পছন্দের বইটি সংগ্রহে রাখতে উতলা হয়ে উঠেছেন পাঠকেরা।
সাভার থেকে মেলায় এসেছেন সিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী নাহিদা ইতি। তিনি বলেন, শুরুতে সেভাবে বই পাইনি। তবে শেষ দিকটাতে সব ধরনের পছন্দের বই পাচ্ছি। মেলা শেষ হবার আগেই পছন্দের সব বই নিতেই আজকে আসা।
বই কিনতে এসেছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইমরান নাদিম ও অনামিকা নাগ। ইমরান বলেন, ' ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধসহ বিভিন্ন বিষয়ের বই পড়ি। তাই আজ মেলা থেকে নিজেদের পছন্দের বই কিনে নিলাম। এর আগেও এসেছিলাম, তবে তখনও সব বই আসেনি।
দ্যু প্রকাশনীর হাসান তারেকও স্বীকার করলেন জমজমাট বই বিক্রির কথা। তিনি বলেন, মেলায় এবারই আমরা প্রথম। শুরুর দিকে বিক্রি সেভাবে না হলেও শেষ দিকে পাঠকরা বই কিনে নিয়েই বাসায় ফিরছেন।
শ্রাবণ প্রকাশনীর রবিন আহসান বলেন, শুক্রবার সবারই ছুটির দিন ছিল। ফলে ঘরে বসে থাকতে চাননি পাঠকেরা। মেলায় সেই প্রভাব পড়েছে। সাধারণত মেলার শেষ শুক্রবার এমন সরগরমই থাকে।
তিনি বলেন, সব মেলাতেই শেষ দশ দিন মেলা খুব জমজমাট হয়। বিশেষ করে শেষ শুক্রবারটা খুব বেশি মানুষের উপস্থিতি থাকে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
আরও পড়ুন:
এসজে
মন্তব্য করুন