• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo

‘জাতির সামনে সব পরিষ্কার হয়ে গেছে’

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ২০:০৯

‘সোমবার প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে গোটা জাতিকে হতাশ করেছে। তিনি সব দলের অংশগ্রহণে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চান না। প্রতিপক্ষহীন, বিরোধী দলহীন একতরফা নির্বাচনই সবচাইতে পছন্দ। জাতির সামনে সব পরিষ্কার হয়ে গেছে। এ কারণেই তিনি খালেদা জিয়াকে বন্দি করার নির্দেশ দিয়েছেন।’

বললেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

মঙ্গলবার বিকেলে নয়াপল্টন দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য একটি গণতন্ত্রহীন দেশের প্রধানমন্ত্রীর ভাষা, নির্দয় একনায়কতন্ত্রের ভাষা। জনগণের রাজনৈতিক চেতনা বহুদলীয় গণতন্ত্রের। এদেশ এখন বহুদলীয় গণতন্ত্রের দেশ নয়। এখানে চলছে প্রতিপক্ষকে বহু-গালাগালি দেয়ার এক অপরিসীম ক্ষমতাধর ব্যক্তির রাজত্ব।

--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন: নির্বাচন না হলে দেশে অরাজকতা হবে: ইনু
--------------------------------------------------------

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে বলেছেন, এটা তো নতুন কিছু না, যুগযুগ ধরে প্রশ্ন ফাঁস হয়। তিনি আরও বলেছেন, মন্ত্রী ও সচিব-তো প্রশ্ন ফাঁস করেননি, তাদের সরে যেতে হবে কেন? প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে গোটা জাতি যেখানে উদ্বিগ্ন এবং যেখানে শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে গেছে, সেখানে প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন ফাঁসকারীদের পক্ষ নিয়ে বক্তব্য দেয়ায় প্রমাণ হলো যে উনি শিক্ষিত জাতি চান না। ভোটারবিহীন অবৈধ সরকারই কেবল এ ধরনের কথা উচ্চারণ করতে পারে। আওয়ামী লীগ ঐতিহাসিকভাবেই কোয়ালিটি এডুকেশনের বিরোধী।’

বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘আপনাদের নিশ্চয়ই ৭২ সালের অটো প্রমোশন ও পরীক্ষায় গণটোকাটুকির কথা মনে আছে, তোফায়েল বিসিএস এর কথা মনে আছে। সম্প্রতি খাতায় কিছু না লিখেও জিপিএ-৫ এর সংখ্যা জ্যামিতিক হারে বৃদ্ধির হিড়িক দেখেছেন। আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্যই হচ্ছে জাতিকে মেধাহীন করা। অন্য একটি দেশের সুবিধার্থে দেশের সন্তানরা যাতে কোয়ালিটিপূর্ণ শিক্ষা না পেয়ে পিছিয়ে পড়ে। প্রধানমন্ত্রীর কথায় এটাও পরিষ্কার হয়েছে যে, সব প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে সরকারের মদদ আছে। জাতিকে মেধাহীন করার জবাব উনাকে একদিন দিতেই হবে।’

দলটির এ মুখপাত্র বলেন, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান প্রধানমন্ত্রীর ক্রোধের আসামি, একদলীয় দুঃশাসনের সাজানো মামলার আসামি। প্রকৃত আইনের শাসন আর গণতন্ত্র থাকলে আওয়ামী সরকারই সাজাপ্রাপ্ত আসামি হয়ে কারাগারে থাকতো। কারণ তারা নিজেরাই আত্মস্বীকৃত দুর্নীতিবাজ। ১/১১ এর সময় জলিল সাহেব, কাদের সাহেব, শেখ সেলিম সাহেবসহ অন্য নেতারা প্রধানমন্ত্রীর দুর্নীতি নিয়ে কী জবানবন্দি দিয়েছিলেন তা জনগণ এখনও ভুলে যায়নি।’

আরও পড়ুন:

এসজে

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
বিএনপি নেতাদের স্ত্রীরা ভারতীয় শাড়ি তেমন কেনেন না : রিজভী
পরিবারের খোঁজ নিতে কারাবন্দি নীরবের বাসায় রিজভী
‘পাশের দেশের স্বার্থ রক্ষায় স্বাধীনতাকে বিক্রি করছে সরকার’
‘প্রতিবেশী দেশের আশ্রয়ে সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসেছে’
X
Fresh