• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

‘সংরক্ষিত নারী এমপিরা দয়ায় চলছে’

রুহুল আমিন তুহিন

  ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ১৯:১৩

সংরক্ষিত আসন নারীদের পরনির্ভরশীল করে তোলা হচ্ছে। রীতিমতো তারা দয়ার উপর চলছে। নারীর ক্ষমতায়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। যোগ্যতাসম্পন্ন নারীদের জন্য এটি বিব্রতকর ও অপমানজনকও বটে। সংরক্ষিত নারী আসন এখন অনেকটাই তামাশায় পরিণত হয়েছে। পেশিশক্তি ও অর্থের দাপটের কারণে মূল ধারার রাজনীতিতে নারীরা ভিড়তে পারছেন না।

এমনটাই মনে করছেন মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামাল ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ডক্টর তোফায়েল আহমেদ।

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সরাসরি ভোটের ব্যবস্থা না করে আবারও সংরক্ষিত নারী আসনের মেয়াদ বাড়ানোয় নারীর ক্ষমতায়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। সংসদ ও সংবিধান থেকে ‘সংরক্ষিত নারী আসন’ প্রথাটি তুলে দিয়ে সাধারণ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য নারীদের উৎসাহিত করা উচিত। অনুকম্পায় নয়, যোগ্যতার ভিত্তিতে রাজনীতিতে নারী নেতৃত্ব গড়ে তোলার দাবি জানান তারা।

গেল সোমবার, মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের মেয়াদ আরও ২৫ বছর বাড়ানোর জন্য সংবিধানের সপ্তদশ সংশোধনীর প্রস্তাব আনা হয়। মন্ত্রিসভা প্রস্তাবের খসড়াও অনুমোদন করে।

জানা যায়, ১৯৭৩ সালে জাতীয় সংসদে ১০ বছরের জন্য ১৫টি সংরক্ষিত আসনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। পরবর্তীকালে সংরক্ষিত আসনসংখ্যা বাড়িয়ে প্রথমে ৩০, পরে ৪৫ এবং বর্তমানে ৫০ করা হয়েছে।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন: সহায়ক সরকারে বিশ্বাস করি না: এরশাদ
--------------------------------------------------------

বেশ কয়েকজন সংরক্ষিত আসনের নারী এমপিরা জানান, নিজ-নিজ দলের সংসদ সদস্যের আনুপাতিক কোটায় মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচিত হওয়ার কারণে তাদের কোনো নির্বাচনী এলাকা নেই। ফলে তাদের এলাকা নিয়ে দায়-দায়িত্বও নেই। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নারী সংসদ সদস্য এলাকার কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে গিয়ে সরাসরি নির্বাচিত এমপিদের অসহযোগিতার মুখোমুখি হন। তারা অভিযোগ করেছেন, কোনো নারী এমপি নিজেকে প্রচারিত করতে গেলেই নানারকম বাধার মুখে পড়েন। ভবিষ্যতে আসন হাতছাড়া হওয়ার আশঙ্কায় অনেক নির্বাচিত এমপিই নারী এমপিদের এলাকায় সক্রিয়ভাবে কাজ করতে দেন না। এর বাইরে সরাসরি ভোটে নির্বাচিত নারী এমপিদের স্থানীয় সাবেক এমপি বা পার্শ্ববর্তী নির্বাচনী এলাকার এমপিরা বিভিন্নভাবে অসহযোগিতামূলক আচরণ করছেন।

ডক্টর তোফায়েল আহমেদ আরটিভি অনলাইনকে বলেন, আমাদের প্রথম সমস্যা জাতীয় সংসদটা এক কক্ষ বিশিষ্ট। বিশেষজ্ঞদের মতামত দেয়ার অবকাশ সীমিত। পেশীশক্তির দাপট ও অর্থবিত্তের দাপটে সংরক্ষিত নারীরা অবহেলিত হয়েছে। কোঠা ভিত্তিক আসন দিয়ে নারীর ক্ষমতায়ন হবে না।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)-এর চেয়ারম্যান সুলতানা কামাল বলেন, আমার নির্বাচিত হওয়ার ব্যাপারটা কিন্তু অধিকারের বিষয়। কিন্তু সে জায়গায় আনুকূল্যের উপর নির্ভর করতে হচ্ছে সংরক্ষিত আসনে নারীদের। যদি তারা কিছু ব্যক্তিকে খুশি রাখতে পারে সে আনুকূল্যে নিয়ে কাজ করতে পারে। এ ক্ষেত্রে অন্য কোন যোগ্যতার প্রয়োজন পড়ছে না। এভাবে রাজনীতিতে নারীর ক্ষমতায়ন হয় না। নারীদের অধিকারের পরিবর্তে আনুকূল্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। রাজনৈতিক দলগুলোকে উচিত, দলের মধ্যে নারীদেরকে তৈরি করা।

সংরক্ষিত আসনে মনোনয়নের বদলে নির্বাচন দিলে নারীর ক্ষমতায়ন ও যোগ্য নেতৃত্ব তৈরি হবে বলে মনে করেন এই নারী অধিকারকর্মী।

আরও পড়ুন:

এমসি/পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
নারী হাজতিকে নির্যাতন, প্রধান কারারক্ষীসহ ৩ জন বদলি
চলছে শিল্পী সমিতির নির্বাচন : এফডিসিতে নিরাপত্তা জোরদার
জোরেশোরে চলছে কারওয়ান বাজার সরিয়ে নেওয়ার কাজ (ভিডিও)
ট্রেনের ইঞ্জিনে ঝুলছিল অজ্ঞাত নারীর মরদেহ
X
Fresh