প্রক্টরের পদত্যাগ দাবিতে ঢাবি শিক্ষার্থীদের অবস্থান
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) প্রক্টরের পদত্যাগের দাবিতে ও শিক্ষার্থীদের নামে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার মামলার খবর প্রকাশ হওয়ার পর রাত সাড়ে ১১টার দিকে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা।
টিএসসি থেকে মিছিল শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক পদক্ষিণ শেষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের বাস ভবনের সামনে গিয়ে অবস্থান নেয়। সেখানে কিছুক্ষণ অবস্থান করে আবারও টিএসসি এসে মিছিলটি শেষ হয়।
এ সময় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী রাজিব দাস বলেন, ‘আমাদের আগের তিনটি দাবির সঙ্গে নতুন দাবি যুক্ত হয়েছে, সেটি হচ্ছে প্রক্টরের পদত্যাগ। ছাত্রীদের ওপর যৌন নিপীড়নের বিচার চাইতে গিয়ে উল্টো আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধেই মামলা করা হয়েছে, এটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ব্যর্থতার চরম বহিঃপ্রকাশ। প্রক্টর পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।’
এদিকে রাত থেকে টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের সামনে দুইজন ছাত্র প্লাকার্ড বহন করে নিজেদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন শুরু করেন। এরপর সকালে তাদের সঙ্গে আরো ২০-২৫ জন শিক্ষার্থী যোগ দেন।
এ বিষয়ে ঢাবি ছাত্র ইউনিয়ন সভাপতি তুহিন কান্তি দাশ আরটিভি অনলাইনকে বলেন, 'এই প্রক্টর শুরু থেকেই শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে আসছে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ছাত্রলীগ নেতাদের দিয়ে হামলা-নির্যাতন করিয়েছে।'
তিনি বলেন, 'প্রশাসন শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা করে দমিয়ে রাখতে পারবে না। বরং আন্দোলনের গতি বাড়বে দ্বিগুণ। মামলা প্রত্যাহারের পাশাপাশি আমরা এই প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি করছি।'
ঢাকার সাত সরকারি কলেজের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিভুক্তি বাতিলের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর সোমবার উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে চড়াও হয় ছাত্রলীগ। ওই দিন ছাত্রলীগ কর্মীরা ছাত্রীদের নিপীড়ন করে।
এর প্রতিবাদে বুধবার প্রক্টর কার্যালয় ঘেরাও করতে যায় একদল শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি ছাত্র ইউনিয়নসহ বামপন্থী দলগুলোর নেতাকর্মীদেরও ওই কর্মসূচিতে দেখা যায়।
শিক্ষার্থীদের আসতে দেখে ওই কার্যালয়ের ফটকে তালা আটকে দেওয়া হলে শিক্ষার্থীরা কলাপসিবল গেইট ভেঙে ফেলেন। ‘ছাত্রী নিপীড়নে’ জড়িত ছাত্রলীগের আট নেতাকর্মীকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বহিষ্কার এবং ছাত্র প্রতিনিধিদের নিয়ে তদন্ত কমিটি করে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেদন প্রকাশের দাবিতে প্রক্টরকে সাড়ে চার ঘণ্টা তারা অবরুদ্ধ করে রাখেন।
পরে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে উপাচার্যের কার্যালয়ে যান প্রক্টর। উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণের আশ্বাস দিলে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে সেখান থেকে ফিরে যায় আন্দোলনকারীরা।
এই পরিস্থিতির মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তা মো. কামরুল আহসান খান ফটক ভাংচুরের ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিকালে শাহবাগ থানায় মামলা করেন। কারও নাম উল্লেখ না করে অজ্ঞাতপরিচয় ৬০ জনকে আসামি করা হয় সেখানে।
আরও পড়ুন
এসজে
মন্তব্য করুন