• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

গ্যাস সংকটে দিনের রান্না মধ্যরাতে

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ১৫ জানুয়ারি ২০১৮, ১২:২৮

পুরান ঢাকার লালবাগ রোডের গৃহিণী লিজা আক্তার গেল কয়েকদিন ধরে নিয়মিত ভোর পাঁচটায় রান্না শুরু করেন। সকালে দুই ছেলেমেয়ে স্কুলে যাওয়ার আগে যাতে একটু গরম খাবার খেতে পারে, সে জন্য তার এ আয়োজন। লিজা জানান, তিনি আগে রান্না করতেন সকাল আটটার দিকে। কিন্তু এক সপ্তাহ ধরে এ সময়ে চুলায় গ্যাস থাকছে না। গ্যাস আসছে রাত ১২টার পর। তাই বাধ্য হয়েই তাকে রান্না শুরু করতে হচ্ছে ভোরে।

লিজা আরটিভি অনলাইনকে আরো বলেন, বেশিরভাগ তরকারি ও সবজি ভোর রাতেই রান্না করে ফেলি। ভোরে তা গরম করে পরিবারের সদস্যদের পরিবেশন করি।

লিজার মতো যারা ভোরে রান্না করতে পারেন না, তারা সকালে বাসার সামনে উঠোনে ইটের চুলা বসিয়ে রান্না করেন। জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করেন পুরনো খবরের কাগজ ও খড়কুটো। ঘনবসতিপূর্ণ মহল্লায় একটি চুলায় একাধিক পরিবার ভাগ করে রান্নার কাজ সারছে।

দফায় দফায় বিল বাড়ানো হলেও রাজধানীতে গ্যাসের সংকট বৃদ্ধি পাওয়ায় জনমনে ক্ষোভ বিরাজ করছে। অনেক গৃহিণীর জীবন যাত্রার রুটিন পরিবর্তন হয়ে গেছে বলে জানান।

মিরপুর ৬ নম্বরের গৃহিণী মৌ শেখ আরটিভি অনলাইনকে জানান, উনার দৈনিক রুটিন পরিবর্তন হয়েছে। কখনো ভোরে কখনো মধ্যরাতে রান্না করতে হয় তাকে। গ্যাস সংকটের কারণে বাইরে থেকে খাবার কিনে আনতে হচ্ছে তাকে। এ কারণে জীবনযাত্রার ব্যয়ও বেশ বেড়েছে।

--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন: উত্তরা মেডিক্যালের ৫৭ শিক্ষার্থীর বিষয়ে আদেশ মঙ্গলবার
--------------------------------------------------------

মৌ শেখের মতো বেশিরভাগ গৃহিণীদের অবস্থা একইরকম। অনেকে অভিযোগ করছেন, গৃহস্থলীর জন্য বরাদ্দ গ্যাস পরিবহন ও শিল্পকারখানায় সরবরাহ করায় এ ঘাটতি হচ্ছে।

রাজধানীর দক্ষিণখান, আশকোনা, ভাটারা, নয়াপল্টন, ফকিরাপুল এলাকা, রামপুরার উলন রোড, মগবাজার, মধুবাগ, মালিবাগ, রামপুরার বনশ্রী, দক্ষিণ বনশ্রী, বাড্ডা, শাহজাদপুর, মোহাম্মদপুরের শেখেরটেক, আদাবর, মিরপুরের মনিপুর, শেওড়াপাড়া, পল্লবী, মিরপুর ১২ নম্বর, পুরান ঢাকার লালবাগ, যাত্রাবাড়ীর কাজলা এলাকা ছাড়াও কেরাণীগঞ্জের মান্দাইলের অধিবাসীরা চুলায় গ্যাস পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করে আসছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শীত শুরুর পর নগরের বেশিরভাগ এলাকায় সকাল আটটা থেকে বেলা তিনটা পর্যন্ত একটানা গ্যাস থাকছে না। আবার অনেক এলাকায় রাত ১১টায় গ্যাস আসছে সকাল না হতে চলে যাচ্ছে।

তিতাস গ্যাসের পরিচালক (অপারেশন) প্রকৌশলী এইচ এম আলী আশরাফ আরটিভি অনলাইনকে বলেন, গ্যাসের উৎপাদন ঠিকই রয়েছে। তবে ব্যবহারের মাত্রা বেড়েছে। আমাদের হিসেবে শীত মৌসুমে গৃহস্থলিতে গ্যাসের ব্যবহার প্রায় ২০ শতাংশ বেড়ে যায়। সাধারণত এ সময়ে পানি খুবই ঠাণ্ডা থাকে তাই দীর্ঘক্ষণ পানি গরম করে। ফলে অনেকে দীর্ঘ সময় চুলা জালিয়ে রাখছে।

তিনি আরো বলেন, পাশাপাশি যেখানে আগে দোতলা বাড়ি ছিল সেখানে এখন ১০তলা বাড়ি হয়ে যাচ্ছে। এতেও গ্যাসের চাহিদা বেড়েছে। এসব এলাকায় গরমেও সংকট থাকতে পারে। তবে নতুন করে রান্নার গ্যাসের সংযোগ দেওয়া বন্ধ করা আছে।

আরও পড়ুন:

এমসি/পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
দুই ঘণ্টা গ্যাস বন্ধ থাকবে যেসব এলাকায়
দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি
শনিবার কোথায় কখন গ্যাস থাকবে না, জানাল তিতাস
দগ্ধ শিশু লামিয়াও বেঁচে রইল না
X
Fresh