গেরিলা আক্রমণে বেশ কয়েকটি এলাকা দখলে আসে আজ
একাত্তরের ৫ ডিসেম্বর, বিভিন্ন অঞ্চলে, মুক্তিবাহিনীর সাঁড়াশি অভিযান চলে। আখাউড়ায় আত্মসমর্পণ করে, পাকবাহিনী। গেরিলা আক্রমণে, ঢাকার আশপাশে বেশ কয়েকটি এলাকা, মুক্তিযোদ্ধাদের দখলে আসে। সিলেটের বেশিরভাগ অঞ্চল দখলসহ, রাজশাহী, কুষ্টিয়া ও যশোর থেকে পাকসেনাদের সরিয়ে নেয়া হয়।
এদিন ১২ ঘণ্টায় ২৩২ বার তেজগাঁও এবং কুর্মিটোলা বিমানঘাঁটিতে বোমা ফেলা হয়। বাংলাদেশে বিধ্বস্ত করা হয় পাকিস্তান বিমান বাহিনীর অধিকাংশ বিমান।
এদিকে, যুদ্ধ পটভূমি পরিবর্তন করতে ইয়াহিয়া ২টি কৌশলের আশ্রয় নেয়। এক, নুরুল আমিনকে প্রধানমন্ত্রী ও জুলফিকার আলী ভুট্টোকে উপ-প্রধানমন্ত্রী বানানো। দুই, বিচারককে তাগিদ দেন বঙ্গবন্ধুর বিচারের রায় দ্রুত লেখার। নির্দেশ দেন বঙ্গবন্ধুর বিচারের রায় সামরিক রীতিতে করার।
বঙ্গবন্ধু তখনো পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি ছিলেন। সাজানো রায় কার্যকর করতে তড়িঘড়ি শুরু করে পাকিস্তানী শাসকরা। দ্রুত রায়ের জন্য নির্দেশ দেয়া হয় বিচারকদের।
৫ ডিসেম্বর চীনের প্রধানমন্ত্রী চৌ এন লাই পাক বাহিনীকে সর্বাত্মক সহায়তা দেয়ার ঘোষণা দিলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন মুক্তিযোদ্ধারা। এদিন বঙ্গোপসাগরে বাঙালি নৌবাহিনীর যৌথ কমান্ডো আক্রমণে, ধ্বংস হয় যুক্তরাষ্ট্র থেকে ধারে নেয়া পাকিস্তানী সাবমেরিন ‘গাজী’।
এসএস/এএ
মন্তব্য করুন