ফুলছড়ি হানাদার মুক্ত হয় আজ
আজ ৪ ডিসেম্বর সোমবার গাইবান্ধার ফুলছড়ি হানাদার মুক্ত দিবস। মুক্তিযুদ্ধের দামাল ছেলেরা একাত্তরের এইদিনে মুক্ত করেন উত্তরের ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদীর পারের ফুলছড়ি থানা।
মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত পর্যায়ে ১১ নং সেক্টরের কোম্পানি কমান্ডার রুস্তম আলী খন্দকারের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধাদের একটি দল উপজেলার গলনার চরে অবস্থান নেয়। ৩ ডিসেম্বর সকালে প্লাটুন কমান্ডার গৌতম চন্দ্র মোদকের নেতৃত্বে কয়েকজন গেরিলা ফুলছড়ির বিভিন্ন পাকিস্তানি সেনা শিবিরে আক্রমণ চালায়। এসময় তারা ফুলছড়ি পুলিশ ষ্টেশনে (থানা) আক্রমণ করে অস্ত্রাগার থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ নিয়ে যায়।
দিনব্যাপী গেরিলা যুদ্ধের পর সন্ধ্যার দিকে গবিন্দিতে পাকিস্তানের সেনাদের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মুখ যুদ্ধ হয়। যুদ্ধে পাকিস্তানের ২৭ সেনা নিহত হয়। অন্যদিকে শহীদ হন ৫ মুক্তিযোদ্ধা। তারা হলেন জাহেদুল ইসলাম বাদল, আফজাল হোসেন, আব্দুস সোবহান, ওসমান গণি ও কাবেজ আলী।
মুক্তিযোদ্ধাদের প্রবল আক্রমণে পরাস্ত হয়ে ভোরের আগেই হানাদার বাহিনী তল্পিতল্পা গুটিয়ে ফুলছড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়। হানাদারমুক্ত হয় গাইবান্ধার ফুলছড়ি।
পরে ৫ শহীদ মুক্তিযোদ্ধার মরদেহ সাঘাটার মুক্তিনগর ইউনিয়নের খামার ধনারুহা প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে সমাহিত করা হয়।
স্বাধীনতা উত্তরকালে এ ৫ বীর শহীদের সম্মানার্থে সগুনা ইউনিয়নের নাম পরিবর্তন করে মুক্তিনগর ইউনিয়ন রাখা হয়। তাদের সম্মানে কবরের পাশেই নির্মিত করা হয় স্মৃতি সৌধ।
ঐতিহাসিক এ দিবসটি উপলক্ষে ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ মুক্তিনগরের ধনারুহা স্কুল মাঠে আলোচনা সভা, শহীদদের কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ, মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া উপস্থিত থাকবেন।
এন/আরকে
মন্তব্য করুন