• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

আদালত মানুষের শেষ ভরসার স্থল : রাষ্ট্রপতি

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ০৩ ডিসেম্বর ২০১৭, ০৮:৫৫

বিচার বিভাগের প্রতি জনগণের আস্থা জোরদারে নিরপেক্ষতা বজায় রেখে দ্রুত মামলা নিষ্পত্তি নিশ্চিত করতে হবে। বিচার বিভাগ বর্তমানে বিচারপ্রক্রিয়া বিলম্বিত এবং মামলা জট সমস্যার মোকাবেলা করছে। বললেন রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ।

রাষ্ট্রপতি বলেন, আদালত মানুষের শেষ ভরসার স্থল। এতে আশা করা হয়, দেশ ও জনগণের কল্যাণে অগ্রাধিকার দিয়ে বিচারপ্রার্থীদের ভোগান্তি হ্রাসে বিচারকরা নিরপেক্ষভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করছেন।

বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শনিবার (বিআইসিসি) জাতীয় বিচার বিভাগীয় সম্মেলন -২০১৭’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের ভাষণে এ কথা বলেন তিনি।

রাষ্ট্রপতি বলেন, মোকদ্দমা শুনানি সমাপ্তির সঙ্গে সঙ্গে আদেশ বা রায়ের সারাংশ ঘোষণা বা যুক্তিসঙ্গত সময়ের মধ্যে আদেশ বা রায় প্রদানের তারিখ ঘোষণা এবং যথাসময়েই তা সম্পন্ন করতে হবে। তাহলে বিচার বিভাগের ওপর জনগণের আস্থা আরো সুদৃঢ় হবে।

আবদুল হামিদ সুনির্দিষ্টভাবে বলেন, মোকদ্দমার যুক্তিতর্ক শুনানির পর যখন রায় প্রকাশে বিলম্ব হয়, তখন সে বিলম্বের একক দায় সংশ্লিষ্ট বিচারককেই নিতে হবে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, বিচারে কাঙ্ক্ষিত গতি আনয়নের জন্য পর্যাপ্ত বিচার কক্ষ, বিচারকদের শূন্য পদে নিয়োগ এবং বিচারক ও মোকদ্দমার সংখ্যায় যুক্তিসঙ্গত ভারসাম্য রক্ষা করা আবশ্যক।

তিনি বলেন, আমাদের দেশের সাধারণ মানুষ দারিদ্র্য, অশিক্ষা ও নানা জটিলতার কারণে অনেক সময় মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়। সনাতন পদ্ধতির আদালত ব্যবস্থাপনার পাশাপাাশি আদালতের ভৌত অবকাঠামোর অপর্যাপ্ততা, পুরাতন স্থাপনা ইত্যাদির কারণে সুষ্ঠুভাবে বিচার কার্যপরিচালনা করা অনেক সময় কষ্টকর হয়ে পড়ে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, নানা সীমাবদ্ধতার মাঝেও বিচারকগণ বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা, মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারসহ বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার নিষ্পত্তিতে প্রশংসনীয় অবদান রাখছেন। গতবছরের তুলনায় চলতি বছরে মামলা নিষ্পত্তির সংখ্যা আশাব্যঞ্জক।

সরকার এরইমধ্যে বিচারালয়ের অবকাঠামো নির্মাণে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করেছে এবং এসব প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে বিচারকরা একটি উন্নত পরিবেশে কাজ করতে পারবেন বলে রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গ তথা নির্বাহী, আইন ও বিচার বিভাগের মধ্যে সুসম্পর্ক ও সমন্বয়ের কোনো বিকল্প নেই।

অনুষ্ঠানে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওহাহ্হাব মিঞা, আইন-বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক এমপি, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হক, বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বিকাশ কুমার সাহা এবং সুপ্রিম কোর্টের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্টার জেনারেল মো. জাকির হোসেন বক্তব্য রাখেন।

জেএইচ

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
সড়কে শৃঙ্খলা জোরদারে বিআরটিএ’র নতুন সিদ্ধান্ত
পরীমণিকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি
বিএনপি নেতা হাবিব কারাগারে
ঘোড়াঘাটে ৬ মোটরসাইকেল আরোহীকে জরিমানা
X
Fresh