সাঁতার কেটে এপারে এলেন ১৭ রোহিঙ্গা যুবক
উখিয়া টেকনাফের বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে দলে দলে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ অব্যাহত রয়েছে। ৩ নভেম্বর ভোর থেকে টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপের দক্ষিণপাড়া, জালিয়াপাড়া, পশ্চিমপাড়াসহ আরো কয়েকটি পয়েন্ট দিয়ে প্রায় ৫০০ রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছে।
এছাড়া বিকেল ৪টার দিকে সাঁতার কেটে নাফ নদী পার হয়ে এপারে পৌঁছে ১৭ জন রোহিঙ্গা যুবক।
টেকনাফ থানার উপ পরিদর্শক নুরুল আমিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি আরটিভি অনলাইনকে জানান, বৃহস্পতিবার শাহপরীর দ্বীপের ওইসব পয়েন্ট দিয়ে একটু কমলেও আজ আবার দলে দলে রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ প্রবেশ করেছে। পালিয়ে আসা নতুন রোহিঙ্গাদের তালিকাভুক্ত করে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
সাঁতার কেটে এপারে আসা যুবকরা জানান, ওপারে এখনো নির্যাতন অব্যাহত রয়েছে। তাই পালিয়ে আসতে গিয়ে নৌকার সংকট দেখা দেয়। ওপারের ছনখোলা থেকে সকাল ১১টার দিকে প্লাষ্টিকের জার নিয়ে সাঁতার শুরু করলে বিকেল ৪টায় এপারে পৌঁছেন তাঁরা।
এদিকে, গতকাল রাতে অনুপ্রবেশকৃত প্রায় ৫ হাজার রোহিঙ্গারা অনেককেই সীমান্তের নাফ নদীর বেড়ীবাঁধে দুই রাত তাবু টাঙিয়ে অবস্থান করতে হয়েছে। তাঁদের সকাল থেকে ক্যাম্পগুলোতে পাঠানো হয়েছে।
৩৪ বিজিবির মেজর ইকবাল আহমেদ জানান, রোহিঙ্গাদের নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হওয়ায় তাঁদের সীমান্ত রাখা হয়েছে। পাশাপাশি তাঁদের তল্লাশির ব্যাপারও ছিল। তবে এতে তাঁদের খাদ্য ও চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়েছিল।
পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা জানান, মিয়ানমার সেনাবাহিনী নির্যাতন অব্যাহত রাখায় তারা পালিয়ে আসেন।
এসজে
মন্তব্য করুন