• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

রোহিঙ্গা সংকটের রাজনৈতিক সমাধান চায় ইইউ

আরটিভি অনলাইন

  ০২ নভেম্বর ২০১৭, ০৯:৪৪

রোহিঙ্গা সংকটের রাজনৈতিক সমাধান চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন। বুধবার এমনটা বলেছেন তিনদিনের সফরে বাংলাদেশে আসা ইউরোপীয় ইউনিয়নের মানবিক সহায়তা বিষয়ক কমিশনার ক্রিস্টোফ স্টাইলিয়ানিদেস। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সংকট একটি রাজনৈতিক সমস্যা এবং রাজনৈতিকভাবে এর সমাধান করতে হবে। খবর বিবিসি।

বুধবার বিকেলে ঢাকাতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলীর সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। বৈঠক শেষে এক ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এই সংকটের সমাধান কেবল রাজনৈতিকভাবেই হতে পারে। এই সংকটের মূল কারণ মিয়ানমারেই নিহিত আছে, সে ব্যাপারে ইউরোপীয় ইউনিয়ন অবগত আছে। রাখাইন রাজ্যের মানবিক পরিস্থিতি এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে আমরা খুবই উদ্বিগ্ন। আমার এই সফরের মাধ্যমে এই সমস্যার দিকে বিশ্বের মনোযোগ বেশি করে আকৃষ্ট করতে চাইছি।’

আলোচনা চালিয়ে যাবার জন্য ইইউ সব ধরনের সহায়তা দেয়ার জন্য প্রস্তুত আছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।

সোমবার রাতে ঢাকায় পৌঁছে গতকাল বুধবার ১৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন ক্রিস্টোফ স্টাইলিয়ানিদেস।

রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেবার জন্য তিনি বাংলাদেশের সরকার এবং স্থানীয় জনগণকে ধন্যবাদ জানান।

রোহিঙ্গাদের জন্য জরুরি অর্থ সহায়তা দেবার জন্য জেনেভায় অনুষ্ঠিত রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ৩৪০ মিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থের যে তহবিল ঘোষণা করা হয়েছে, তার অর্ধেকের বেশি ইইউ দেবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

ক্রিস্টোফ স্টাইলিয়ানিদেস বলেন, ‘এক সপ্তাহ আগে জেনেভায় রোহিঙ্গাদের সাহায্যের প্রতিশ্রুতি নিয়ে যে সম্মেলন হয়েছে, তারপরই আমি এখানে এসেছি। সেখানে রোহিঙ্গাদের জন্য ৩৪০ মিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থ সহায়তার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১৭০ মিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থ দেবে ইইউ এবং এর সদস্য রাষ্ট্রগুলো। আমাদের এই আর্থিক প্রতিশ্রুতি নিয়ে আমি খুশি, কারণ এটি আমাদের নীতিগত কাঠামোর একটি অংশ বলে আমি মনে করি।’

তবে কবে নাগাদ এই অর্থ বাংলাদেশে পৌঁছবে বা ঠিক কীভাবে এই জরুরি সাহায্য দেয়া হবে, সে বিষয়ে পরিষ্কার করে কিছু উল্লেখ করেননি তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নেবার জন্য বাংলাদেশ এবং মিয়ানমার দুই দেশকেই আলোচনা চালিয়ে যেতে হবে।

স্টাইলিয়ানিদেস বলেন , ‘আমি আশা করি, রোহিঙ্গারা নিরাপদে এবং মর্যাদার সঙ্গে নিজের দেশে মিয়ানমারের রাখাইনে ফিরে যাবে। বাংলাদেশ এবং মিয়ানমারের সরকারের এজন্য আলোচনা চালিয়ে যেতে হবে। বিষয়টি নিয়ে আমি বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে অনেক আলোচনা করেছি। রোহিঙ্গাদের নিরাপদে, স্বেচ্ছায় এবং মর্যাদার সঙ্গে দেশে ফেরানোর এটাই একমাত্র উপায়।’

এদিকে, এর আগে ইয়াঙ্গুন থেকে মিয়ানমার সরকারের এক শীর্ষস্থানীয় মুখপাত্রকে উদ্ধৃত করে বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও এএফপি জানায়, দেশটির কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করেছে, রাখাইন প্রদেশ থেকে যে লাখ লাখ মুসলিম গেলো দুই মাসে বাংলাদেশে শরণার্থী হিসেবে গেছেন, তাদের প্রত্যাবাসনের কাজ বাংলাদেশের জন্যই দেরি হচ্ছে।

এপি/এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ভাসানচরে রোহিঙ্গা নাগরিককে গলা কেটে হত্যা
হাওরের পাকা ধান নিয়ে উদ্বিগ্ন কৃষক, শ্রমিক সংকট
সংকট থেকে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বাংলাদেশ : অর্থমন্ত্রী
মান বাঁচাতে গিয়ে ফেঁসে গেলেন রাজনৈতিক কর্মী
X
Fresh