ঢামেকে চিকিৎসকদের আন্দোলন, চরম দুর্ভোগে রোগীরা
নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন দাবিতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বহির্বিভাগের চিকিৎসাসেবা বন্ধ রেখেছেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। একই সঙ্গে বহির্বিভাগের গেট বন্ধ রেখে অবস্থান নেয়ায় চমর দুর্ভোগে পড়েছেন চিকিৎসা নিতে আসা শত শত রোগী ও তাদের স্বজনরা।
মঙ্গলবার দুপুরে অজ্ঞাত এক নারী চিকিৎসা নিতে এসে আন্দোলনরত চিকিৎসকদের সামনেই অজ্ঞান হয়ে পড়েন।এ সময় তার হাতে জরুরি বিভাগের চিকিৎসার জন্য একটি টোকেনও পাওয়া যায়।
টোকেনে দেখা যায়, ইস্কাটন গার্ডেন রোড থেকে ওই নারী ঢামেকে চিকিৎসা নিতে আসেন। তাৎক্ষণিকভাবে আন্দোলনরত চিকিৎসকরা তার প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। পরে তাকে জরুরি বিভাগে পাঠিয়ে দেয়া হয়। তবে ওই নারীর নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
চিকিৎসকদের হঠাৎ এই আন্দোলনে অবর্ণনীয় দুর্ভোগে পড়েছেন বহির্বিভাগে আসা রোগীরা। চিকিৎসা না পেয়ে ফিরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন অনেকে।
নারায়ণঞ্জের ভুলতা গাউছিয়া থেকে ঢামেকে চিকিৎসা নিতে এসেছেন নাজমা আক্তার। তিনি বলেন, গতকাল (সোমবার) ডাক্তার দেখিয়ে গেছি, আজ (মঙ্গলবার) রিপোর্ট দেখানোর কথা। অসুস্থ শরীর নিয়ে খুব কষ্ট করে নারায়ণগঞ্জ থেকে সকালে এসেছি। কিন্তু ডাক্তারদের আন্দোলনে কারণে সব কিছু বন্ধ আছে। ডাক্তার দেখাতে পারছি না। এখন কী করব, ফিরে যেতে হবে।
চিকিৎসা নিতে আসা সিদ্দিকুর রহমান জানান, ডাক্তারের পূর্ব পরামর্শ মতে আজ (মঙ্গলবার) এসেছি ইঞ্জেকশন নিতে। কিন্তু বহির্বিভাগ বন্ধ থাকায় চিকিৎসা নিতে পারছি না।
তিনি আরও বলেন, আমার একটি রোগের কারণে মাথায় ইঞ্জেকশন নিতে হবে। ডাক্তার আজ (মঙ্গলবার) আসতে বলেছিলেন, কিন্তু আজ তো বহির্বিভাগ বন্ধ করে দিয়েছে। ইঞ্জেকশন দিতে না পারলে খুবই সমস্যায় পড়ে যাব। কারণ ২১ দিন পর পর এ ইঞ্জেকশন নিতে হয়।
শুধু নাজমা আক্তার বা সিদ্দিকুর রহামন নন, ঢামেকে বহির্বিভাগের বাহিরে শত শত রোগী অপেক্ষা করছেন। এসব রোগীদের সঙ্গে আসা স্বজনরাও চিকিৎসাসেবা না পেয়ে অসহায় অবস্থায়ই ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।
এর আগে মঙ্গলবার সকাল থেকেই নিরাপত্তার দাবি চেয়ে হাসপাতালের বহির্বিভাগ বন্ধ করে বিক্ষোভ করছেন চিকিৎসকেরা।
গত রোববার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে স্বজনদের হাতে ডাক্তারকে মারধরের প্রতিবাদ, জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও চাকরিস্থলে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবিতে আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা এ কর্মসূচি পালন করছেন।
এমকে
মন্তব্য করুন