রাখাইনে প্রাথমিক পরিচয় পেলো ৭ হাজার মানুষ
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে গত এক মাসে মাত্র সাত হাজারের বেশি মানুষকে ন্যাশনাল ভ্যারিফিকেশন কার্ড (এনভিসি) দিয়েছে দেশটির সরকার। মিয়ানমার সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের ওপর সহিংসতা শুরুর পর সমালোচনার মুখে গেলো ১ অক্টোবর ওই রাজ্যে যাচাই করে পরিচয়পত্র দেওয়া শুরু করে কর্তৃপক্ষ। খবর দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের।
জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনানের নেতৃত্বে গঠিত কমিটি রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে যেসব সুপারিশ করে তার মধ্যে যাচাইকরণ প্রক্রিয়া অন্যতম।
রাখাইন রাজ্যের অভিবাসন ও জনসংখ্যা বিষয়ক বিভাগের পরিচালক ইউ অং মিন বলেন, এনভিসি দেওয়ার ক্ষেত্রে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে। যেসব এলাকায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে এসেছে সেখানে এই এনভিসি দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
পরিচালক মিন বলেন, ১৯৮২ সালের সিটিজেনশিপ আইন অনুযায়ী নাগরিকত্ব যাচাইয়ে এনভিসি কর্মসূচিই প্রথম পদক্ষেপ। ১৯৪৯ ও ১৯৫১ সালের ইউনিয়ন সিটিজেনশিপ অনুযায়ী যারা মিয়ানমারে অবস্থান করবে তাদের এই কার্ড ব্যবহারের পরামর্শও দেন তিনি।
এছাড়া মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চির নেতৃত্বে রাখাইন রাজ্যে মানবিক সাহায্য, পুনর্বাসন এবং রাজ্যের উন্নয়নের জন্য বেসরকারি পর্যায়ে নয়টি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। রাখাইন রাজ্যের সকল স্তরে উন্নয়ন এবং সকল সেক্টরে যাতে সরকারি, স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলো কাজ করতে পারেই সে জন্যই এইসব টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে।
গেলো ২৫ অক্টোবর রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলমানদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে দেশটির সেনাবাহিনী। এরপর পাঁচ লাখের বেশি মানুষ বাংলাদেশে পালিয়ে আসে।
এ/এপি
মন্তব্য করুন