• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo

চলে গেলেন বাংলাদেশের বন্ধু ফাদার মারিনো

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ২১ অক্টোবর ২০১৭, ১০:৪৪

বাংলাদেশের সম্মানসূচক নাগরিক ও মুক্তিযোদ্ধা শুক্রবার সন্ধ্যায় ফাদার মারিনো রিগন মারা গেছেন।

ইতালির ভিচেঞ্চায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

মারিনোর ভাগ্নি মারতা আলেসান্দ্রো জানিনের বরাত দিয়ে প্যারিস প্রবাসী সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রবীশঙ্কর মৈত্রী এ তথ্য জানিয়েছেন।

বাংলাদেশ সময় শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ফেইসবুক এ নিয়ে লাইভ করেন রবীশঙ্কর মৈত্রী।

তিনি বলেন, ‘দার্শনিক, লেখক, অনুবাদক ও মানবসেবক ফাদার মারিনো রিগন দেহত্যাগ করেছেন। এই মাত্র তিনি মায়াত্যাগ করে চলে গেছেন। ২০১৪ সাল থেকে তিনি ইতালির ভিচেঞ্চায় বিশেষ যত্নে ছিলেন। তার আর বাংলাদেশে ফেরা হল না। ফাদার রিগনের ভাগ্নি মারতা জানিন ইতালির ভিল্লভেরলা থেকে শোক সংবাদটি জানালেন।’

২০০১ সালে হৃদরোগে আক্রান্ত হলে তার পরিবারের সদস্যরা তাকে ইতালি নিয়ে যেতে চান।

“তখন তিনি তার স্বজনদের শর্ত দিয়েছিলেন যে, ইতালিতে তার যদি মৃত্যু হয় তাহলে মরদেহটি বাংলাদেশে পাঠাতে হবে। স্বজনেরা তার শর্ত মেনে নিলে উন্নত চিকিৎসায় ইতালি যান মারিনো। সেখানেও অস্ত্রোপচারের আগে স্বজনদের কাছে তার শেষ মিনতি ছিল, 'আমার মৃত্যু হলে লাশটি বাংলাদেশে পাঠাবে,” বলেছেন রবীশঙ্কর মৈত্রী।

ফাদার মারিনো রিগন ১৯২৫ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি ইতালির ভেনিসের কাছে ভিল্লভেরলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৫৩ সালে তিনি খ্রিষ্টধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশে আসেন। দেশের নানা জায়গা ঘুরে বাগেরহাটের মংলা উপজেলার হলদিবুনিয়া গ্রামে দীর্ঘদিন বসবাস করেন তিনি।

ধর্মের গণ্ডি পেরিয়ে বাংলাদেশের মানুষের দারিদ্র্য বিমোচন, শিক্ষার প্রসার, চিকিৎসা সেবা ও দুঃস্থ নারীদের উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখেন।

১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তিনি অসুস্থ ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয় ও সেবা দেওয়ার মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। ২০০৯ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে সম্মানসূচক নাগরিকত্ব প্রদান করে।

/ওয়াই

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
‘বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির প্রেরণার উৎস’
‌‘ইন্ডিয়া আউট যারা বলছে, তারাই জনগণ থেকে আউট হয়ে গেছে’
‘ফিল্মফেয়ার বাংলা’য় মনোনয়ন পেলেন বাংলাদেশের যেসব তারকা
‘দেশকে ভালোবাসতে হলে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানতে হবে’ 
X
Fresh