• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo

বাঁধে লুটপাট হতে পারে, তবে হরিলুট হবে না: পানিসম্পদমন্ত্রী

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ১৯ অক্টোবর ২০১৭, ১৯:২৭

বন্যা পরবর্তী সংস্কারকাজ-বাঁধে নিয়ে লুটপাট হতে পারে, তবে হরিলুট হবে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাজে কোনো দুর্নীতি হয় না-এমন কথা আমি বলব না। কিন্তু দুর্নীতির কারণে বাঁধ ভেঙে বন্যা হয়েছে, এটা আমি মানতে রাজি না।

বললেন পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।

বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘বন্যা-২০১৭ : ক্ষয়ক্ষতির হিসাব ও বন্যা–পরবর্তী ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক সংলাপে এসব কথা বলেন তিনি।

আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, আমেরিকাতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে ইঁদুর মারতে জনবল নিয়োগ দেওয়া আছে। কিন্তু আমাদের দেশে ইঁদুর মারতে সে ধরনের লোকবল নেই।

আনিসুল ইসলাম বলেন, আমাদের বাঁধগুলোতে অনেক বেশি অত্যাচার করা হয়। ফসল তুলতে বাঁধ কাটা হয়। বাঁধে গরু, ছাগল রাখা হয়। ঘরবাড়ি তোলা হয়। ফলে বাঁধ রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়ে। এবারের বন্যা গাফিলতি বা অব্যবস্থাপনায় নয়, অন্য কারণে হয়েছে।

তিনি জানান, হাওরে অন্তত ৫০০ জায়গায় ফসল তুলে বাঁধ কাটা হয়েছে। এগুলো মেরামতের মাটি তো বাইরে থেকে আনতে পারছি না। হাওরের মাটি দিয়েই পূরণ করতে হবে। ডিসেম্বরের আগে কাজ শুরু সম্ভব না, পানি নামলে কাজ শুরু হবে।

আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, এ বছরে তিন বার বন্যা হয়েছে। তবে বাঁধ ভেঙে বন্যা হয়নি। অতিবৃষ্টির কারণে পানি বাঁধ দিয়ে উপচে পড়েছে।

আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, বাঁধ নির্মাণ বা রক্ষণাবেক্ষণে শত শত কোটি দুর্নীতির অভিযোগ করা হয়, তা মোটেও সত্য নয়। এখানে বরাদ্দ মাত্র ৪২০ কোটি টাকা। সুতরাং এরমধ্যে হরিলুট হওয়ার সুযোগ নেই। তবে লুট ও দুর্নীতি কিছু হচ্ছে।

তিনি বলেন, পানিসম্পদ অধিদফতর সমাজের ও সিস্টেমের বাইরের কোনও অংশ নয়। সমাজে যে ধরনের দুর্নীতি হচ্ছে, এখানেও সেটি আছে।’

পানিসম্পদমন্ত্রী বলেন, এবারের বন্যা গাফিলতি বা অব্যবস্থাপনার কারণে হয়নি, হয়েছে অন্য কারণে। তবে এবছর বন্যা দীর্ঘমেয়াদী ছিল না। অধিকাংশ জায়গার পানি পাঁচ-ছয় দিনেই নেমে গেছে। কিছু এলাকায় পানি আছে।

মন্ত্রী বলেন, সরকার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় সচেষ্ট থেকে কাজ করে যাচ্ছে। ড্রেনেজ করা হচ্ছে। নদীগুলো খনন করা হচ্ছে। তবে এসব করতে গিয়ে নানাবিধ সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।

সংলাপে বক্তব্য রাখেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু, কৃষি বিশেষজ্ঞ ও অর্থনীতিবিদ ড. এম আসাদুজ্জামান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ ড. আইনুন নিশাত, সিপিডি’র ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য্য প্রমুখ।

সংলাপ সঞ্চালনা করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।

এসজে

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান ব্যবস্থা নেই : আনিসুল ইসলাম মাহমুদ
দেশে অবৈধভাবে ১০ লাখ বিদেশি কাজ করছে : বিরোধীদলীয় উপনেতা
X
Fresh