সার্জেন্ট আলতাফের বাড়িতে শোকের মাতম
পশ্চিম আফ্রিকার মালিতে বিস্ফোরণে নিহত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইএমইর সার্জেন্ট আলতাফ মন্ডলের বাড়ি দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার বিশ্বনাথপুর মন্ডলপাড়া গ্রামে এবং শ্বশুরবাড়ি পার্বতীপুর উপজেলার খোড়াখাই গ্রামের বড়বাড়ি পাড়ায় চলছে শোকের মাতম।
পরিবারের সদস্যরা জানান, সার্জেন্ট আলতাফ ৪ মাস আগে দেশ ছেড়ে শান্তিরক্ষা মিশনে মালিতে যান। আর ৮ মাস পর চাকরী থেকে তার অবসরে যাওয়া কথা। কিন্ত তার আগেই সন্ত্রাসীদের পুতে রাখা বোমা বিস্ফোরণে এই পৃথিবী থেকে চিরজীবনের জন্য অবসরে চলে গেলেন সেনা সার্জেন্ট আলতাফ।
তার দুই মেয়েই খোলাহাটি ক্যান্টপাবলিক স্কুল এন্ড কলেজে লেখাপড়া করে। ছোট মেয়ে সুমাইয়া পঞ্চম শ্রেণির এবং বড় মেয়ে মিনারা একাদশ শ্রেণির ছাত্রী।
চিরিরবন্দরের বিশ্বনাথপুর মন্ডলপাড়ায় মৃত সাত্তার মন্ডলের পুত্র সার্জেন্ট আলতাফ।
নিহত আলতাফের মা সুরাতন নেসা ছেলের মৃত্যু সংবাদ পেয়ে শয্যাশায়ী। থেকে থেকে করছেন আহাজারী। তিনি এখন মৃত ছেলের মুখ একবার দেখতে চান।
এদিকে, আলতাফের মৃত্যু সংবাদ শুনেই সৈয়দপুর সেনানীবাসে থাকা স্ত্রী নাসিমা বেগম তার দুই মেয়েকে রাতেই নিজ পিতার বাড়ি পার্বতীপুরের খোড়াখাই গ্রামের বড়বাড়ি পাড়ায় চলে এসেছেন। এই বাড়িতে আহাজারি করছেন স্ত্রী-কন্যারা।
রোববার পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালিতে বিদ্রোহীদের পুঁতে রাখা বোমায় বাংলাদেশি তিন শান্তিরক্ষী নিহত হন। আহত হন আরও চার বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী।
বিদ্রোহীদের সঙ্গে শান্তিরক্ষীদের সংঘর্ষের পর বোমা বিস্ফোরণে এ হতাহতের এই ঘটনা ঘটে বলে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
নিহতরা হলেন- সার্জেন্ট আলতাফ, ইএমই (দিনাজপুর), ল্যান্স কর্পোরাল জাকিরুল, আর্টিলারি (নেত্রোকোণা) ও সৈনিক মনোয়ার, ইস্ট বেঙ্গল (বরিশাল)।
আহত হয়েছেন মেজর জাদিদ, পদাতিক (ঢাকা), কর্পোরাল মহিম, পদাতিক (নোয়াখালী), সৈনিক সবুজ, পদাতিক (নওগাঁ) ও সৈনিক সরোয়ার, পদাতিক (যশোর)।
উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের গাঁও শহরে নেয়া হয়েছে বলে আইএসপিআর জানিয়েছে।
এসজে
মন্তব্য করুন