মিয়ানমারের কাছে ক্ষতিপূরণ চাইতে পারে বাংলাদেশ
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে এক মাস ধরে চলা সেনাবাহিনী ও মগদের অভিযানে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে কয়েক লাখ রোহিঙ্গা। জাতিসংঘসহ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংস্থার মতে, অভিযানের সময় সেনাবাহিনীর নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়ে প্রাণ হারিয়েছে হাজারো রোহিঙ্গা।
এরই মধ্যে জাতিগতভাবে রোহিঙ্গা নিধন, গণধর্ষণ, বাড়ি-ঘর পোড়ানোসহ যুদ্ধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে মালয়েশিয়ায় আন্তর্জাতিক গণআদালতে রায় হয়েছে। এতে মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সূচি ও সেনাবাহিনীকে দোষী সাব্যস্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ১৭টি ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করেছে। এ শুনানিতে বাংলাদেশের পক্ষে অংশ নেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক বলেন, রোহিঙ্গাদের ফেরত নেয়ার পাশাপাশি মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গণহত্যার বিচার শুরুর জন্য প্রয়োজন জোরালো কূটনৈতিক তৎপরতা। রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন ও তাদেরকে গণহত্যার দায়ে হেগের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতেও মিয়ানমারের বিচার সম্ভব বলে জানান তিনি।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ জানান, জাতিসংঘের হিসেবে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ত্রাণ ও পুনর্বাসনে ছয় মাসে দরকার হবে প্রায় ২০ কোটি মার্কিন ডলার।
গণহত্যার বিচারের পাশাপাশি, মিয়ানমারের কাছে বাংলাদেশের ক্ষতিপূরণ চাওয়ার সুযোগ আছে বলে মনে করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের এই প্রসিকিউটর।
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে কফি আনান কমিশনের সুপারিশ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাঁচ দফা প্রস্তাব বাস্তবায়নেরও দাবি জানান তিনি।
এদিকে আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, বিচারের পাশাপাশি মিয়ানমারের কাছে ক্ষতিপূরণও দাবি করতে পারে বাংলাদেশ। এজন্য কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়ানোর পাশাপাশি আইনি লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।
আরকে/এসজে
মন্তব্য করুন