• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo

রোহিঙ্গা ইস্যুতে ট্রাম্পের কাছে প্রত্যাশা নেই : শেখ হাসিনা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, আরটিভি অনলাইন

  ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৩:৪২

রোহিঙ্গা ইস্যুতে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সাহায্য করবেন বলে আশা করেন না প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কারণ শরণার্থী নিয়ে নিজের ভাবনা ট্রাম্প স্পষ্ট করে দিয়েছেন। স্থানীয় সময় সোমবার রোহিঙ্গা শরণার্থী বিষয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলার পর রয়টার্সকে দেয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে এ কথা জানিয়েছেন শেখ হাসিনা।

নিউ ইয়র্কে স্থানীয় সময় সোমবার জাতিসংঘের সদর দপ্তরে ট্রাম্পের আয়োজনে জাতিসংঘের সংস্কার বিষয়ে উচ্চপর্যায়ের সভায় যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রয়টার্সের সাংবাদিক মিশেল নিকোলসকে দেয়া সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনা জানান, সভাস্থল ছাড়ার পর ট্রাম্পকে তিনি কয়েক মিনিটের জন্য থামান। এ সময় ট্রাম্প বাংলাদেশের খবর জানতে চান। শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি বলি, বাংলাদেশ খুব ভালো অবস্থায় আছে। তবে আমাদের একমাত্র সমস্যা মিয়ানমার থেকে আসা শরণার্থীরা। কিন্তু ট্রাম্প শরণার্থীদের নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।’

পুলিশের কয়েকটি তল্লাশি চৌকিতে হামলার পর গেলো ২৫ আগস্ট থেকে রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অভিযান শুরু হয়। সহিংসতা থেকে বাঁচতে এ পর্যন্ত চার লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা সীমান্ত পার হয়ে বাংলাদেশে ঢুকেছে। রাখাইনে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর যে নিপীড়ন চলছে, তাকে ‘জাতিগত নির্মূল’ বলে চিহ্নিত করেছে জাতিসংঘ।

রয়টার্সকে দেয়া সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এর মধ্যেই আমেরিকা ঘোষণা দিয়েছে, তারা কোনো শরণার্থীকে সে দেশে ঢুকতে দেবে না। আমি তাদের কাছ থেকে কী আশা করতে পারি, বিশেষ করে সে দেশের প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে? তিনি (ট্রাম্প) এর মধ্যেই তার মনোভাব প্রকাশ করেছেন...তাহলে আর কেন সাহায্য চাইব?’

শেখ হাসিনা আরো বলেন, ‘বাংলাদেশ ধনী দেশ নয়...কিন্তু যদি আমরা ১৬ কোটি মানুষকে খাওয়াতে পারি, তাহলে আরো ৫০০ অথবা সাত লাখ মানুষকেও খাওয়াতে পারব।’

দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আমেরিকার শরণার্থী বিষয়ক কর্মসূচিতে ১২০ দিনের স্থগিতাদেশ দেয়ার চেষ্টা করেন। মুসলিম-অধ্যুষিত ছয়টি দেশের মানুষকে আমেরিকা ভ্রমণে ৯০ দিন পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞাও জারি করেন। গেলো শুক্রবার এক টুইটে ট্রাম্প বলেন, ‘আমেরিকা ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরো বিস্তৃত, কঠোর ও সুনির্দিষ্ট করা উচিত। কিন্তু এটি রাজনৈতিকভাবে সঠিক হবে না।’

ট্রাম্প বলেছেন, সন্ত্রাসী হামলা প্রতিরোধ করতে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি প্রয়োজন। আগামী মাসে ট্রাম্পের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা বিষয়ক নির্বাহী আদেশের ওপর শুনানি হবার কথা রয়েছে।

সাম্প্রতিক সহিংসতা পর্যন্ত রাখাইন রাজ্যে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গার বসবাস ছিল। তাদের বেশির ভাগেরই চলাচলে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। মিয়ানমারে তাদের নাগরিকত্বও দেয়া হয়নি। স্থানীয় বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের অনেকে তাদের বাংলাদেশ থেকে আসা অবৈধ অভিবাসী হিসেবে বিবেচনা করে।

শেখ হাসিনা বলেন, রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারের ওপর তিনি আরো আন্তর্জাতিক চাপ দেখতে চান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘(মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চিকে) মানতে হবে যে, এই মানুষগুলো তার দেশের এবং মিয়ানমারই তাদের দেশ। তাদের ফিরিয়ে নিতে হবে। এই মানুষগুলো দুর্ভোগে রয়েছে।’

নোবেল পুরস্কারজয়ী সু চি মিয়ানমারে সহিংসতা বন্ধে উদ্যোগ না নেয়ার জন্য আন্তর্জাতিকভাবে সমালোচিত হচ্ছেন।

মিয়ানমারের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা থং তুন সোমবার রয়টার্সকে বলেন, ‘যারা বাড়িঘর ছেড়ে গেছে, তাদের ফিরে আসা মিয়ানমারকে নিশ্চিত করতে হবে। তবে একটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে এটি করতে হবে। এ জন্য আমাদের আলোচনা করতে হবে।’

এপি/সি

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
‘অকৃতজ্ঞরা ভুলে যায় জিয়াকে মেজর জেনারেল বানিয়েছিল আওয়ামী লীগ’
বিশ্বের মহিলা প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে শেখ হাসিনা এখন শ্রেষ্ঠ : মোরশেদ আলম
যুদ্ধাহত ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারে ফল-মিষ্টি পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রীর নিষ্ঠা থেকে শিক্ষা নেওয়ার আহ্বান পরশের
X
Fresh