রোহিঙ্গাদের বাড়ি ভাড়া ও পরিবহন সুবিধা না দিতে পুলিশের নির্দেশ

রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বাড়ি ভাড়া না দিতে ও যাতায়াতে পরিবহন ব্যবহার করতে না দিতে মালিক শ্রমিকদের নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ।

শনিবার পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এই নির্দেশনা পাঠানো হয়।

এতে বলা হয়, সরকার রোহিঙ্গাদের জন্য নির্দিষ্ট স্থানে বাসস্থান-খাওয়া এবং চিকিৎসাসহ প্রয়োজনী সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। তারা নিজ দেশে প্রত্যাবর্তন না করা পর্যন্ত নির্দিষ্ট ক্যাম্পেই অবস্থান করবেন। রোহিঙ্গাদের অবস্থান কক্সবাজারে নির্দিষ্ট শরণার্থী শিবিরে সীমাবদ্ধ রাখা হবে বলে জানায় পুলিশ।

তারা ক্যাম্পের বাইরে তাদের আত্মীয়-স্বজন অথবা পরিচিত ব্যক্তিদের বাড়িতে অবস্থান-আশ্রয় গ্রহণ বা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাতায়াত করতে পারবেন না। তাদেরকে নির্দিষ্ট ক্যাম্পের বাইরে কেউ যেন বাসা-বাড়ি ভাড়া না দেয়।

সড়ক, রেল ও নৌ পথ ব্যবহার করে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে রোহিঙ্গাদের না নিতে পরিবহন চালক-শ্রমিকদের বলা হয়েছে।

দমন-পীড়নের মুখে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের ছড়িয়ে পড়ার খবর আসার প্রেক্ষাপটে পুলিশ এ নির্দেশনা জারি করে।

বাংলাদেশে দশকের পর দশক ধরে ৪ লাখের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী হয়ে আছে। এদের বিরুদ্ধে জঙ্গি তৎপরতাসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ার তথ্যও সরকারের কাছে রয়েছে।

তিন সপ্তাহ আগে রাখাইনে নতুন করে সহিংসতা শুরুর পর ইতোমধ্যে ৪ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসেছে। এই সংখ্যা আরও বাড়ছে।

নতুন শরণার্থীদের জন্য কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালীতে আশ্রয় শিবির করেছে সরকার। সেখানে তাদের নিবন্ধনও করা হচ্ছে।

তবে এরই মধ্যে চট্টগ্রামের বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে পড়েছেন রোহিঙ্গারা। বেশ কয়েকজনকে ধরার পর উখিয়ায়ও ফেরত পাঠানো হয়েছে। মধ্যাঞ্চলের মানিকগঞ্জ এবং পূর্বাঞ্চলের সুনামগঞ্জেও রোহিঙ্গা ধরা পড়েছে।

রোহিঙ্গা শরণার্থীদের কেউ অন্য কোথায় আশ্রয় নিয়েছে কিংবা চলাচল করছে, এমন খবর পেলে স্থানীয় প্রশাসনকে জানাতে বলেছে পুলিশ।

এমকে