• ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
logo

মিয়ানমারের অস্ত্র ভাণ্ডার সমৃদ্ধ করতে চীন-রাশিয়া এগিয়ে

আরটিভি অনলাইন ডেস্ক

  ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৬:৪৯

নিরাপত্তা পরিষদে যে কোনো প্রস্তাব আটকে দেওয়ার ক্ষমতাসম্পন্ন পাঁচটি স্থায়ী সদস্যের মধ্যে চীন ও রাশিয়া মিয়ানমারের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে পরিচিত। তারা সরাসরি রাখাইনে মিয়ানমারের অভিযানের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে।

এর আগে রোহিঙ্গা সঙ্কট শুরুর পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মিয়ানমার ছুটে গিয়ে দেশটির ক্ষমতাসীন দলের নেত্রী অং সান সু চি’র সাথে সাক্ষাৎ করে অভিযানের প্রতি সমর্থন দিয়ে এসেছে।

আন্তর্জাতিক সব চাপ উপেক্ষা করে অবশ্য শুরু থেকেই মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের ওপর চালানো নির্যাতনের অভিযোগ নাকচ করে আসছে। উল্টো দাবি করছে, রোহিঙ্গারাই এসবের জন্য দায়ী।

এমন প্রেক্ষাপটে প্রশ্ন উঠেছে, এত শক্তি মিয়ানমার পাচ্ছে কোথা থেকে? তারই একটি পরিসংখ্যান দিয়েছে কাতারভিত্তিক আলজাজিরা। সেখানে তুলে ধরা হয়েছে মিয়ানমার কোন কোন দেশের কাছ থেকে অস্ত্র কিনে নিজেদের আরও শক্তি বৃদ্ধি করছে।

আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্রিটিশ উপনিবেশ থেকে ১৯৪৮ সালে স্বাধীন হয় মিয়ানমার। এরপর অর্ধ শতাব্দীর বেশি সময় ধরে শক্ত হাতে দেশটির রাজনীতি ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করছে সেনাবাহিনী।

১৯৯০-এর দশকের শুরু থেকে বিভিন্ন সময়ে মিয়ানমারের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও যুক্তরাষ্ট্র। ২০১২ সালে তথাকথিত গণতান্ত্রিক রূপান্তর হয় মিয়ানমারে। তা সত্ত্বেও এখন পর্যন্ত দেশটির ওপর ইইউ’র অস্ত্র আমদানি-রপ্তানির নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এই সময়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বিপুল অস্ত্র আমদানি করেছে মিয়ানমার।

গ্রাফিক্স ব্যবহার করে আলজাজিরা বলছে, ১৯৯০ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত মিয়ানমারের কাছে সবচেয়ে বেশি অস্ত্র ও আনুষঙ্গিক সরঞ্জাম বিক্রি করেছে চীন, রাশিয়া, ভারত, ইসরাইল ও ইউক্রেন।

বিগত ২৬ বছরে মিয়ানমারের কাছে সবচেয়ে বেশি ১২০টি বিমান বিক্রি করেছে চীন। এরপরই আছে রাশিয়ার অবস্থান, দেশটি ৬৪টি বিমান বিক্রি করেছে। এছাড়া পোল্যান্ড ৩৫, জার্মানি ২০, সাবেক যুগোস্লাভিয়া ১২, ভারত নয়, সুইজারল্যান্ড তিন ও ডেনমার্ক মিয়ানমারের কাছে একটি বিমান বিক্রি করেছে।

একই সময়ের মধ্যে মিয়ানমারের কাছে সর্বাধিক ৬৯৬টি সাঁজোয়া যান বিক্রি করেছে চীন। এরপরই আছে ইসরাইলের অবস্থান, দেশটি মিয়ানমারের কাছে সাঁজোয়া যান বিক্রি করেছে ১২০টি। এছাড়া ইউক্রেন ৫০ ও ভারত ২০টি সাঁজোয়া যান বিক্রি করেছে।

মিয়ানমারের কাছে সর্বাধিক দুই হাজার ৯৭১টি ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রি করেছে রাশিয়া। ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রিতে দেশটির পরেই আছে চীন, এক হাজার ২৯টি। এছাড়া বেলারুশ ১০২, বুলগেরিয়া ১০০ ও ইউক্রেন মিয়ানমারের কাছে ১০টি ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রি করেছে।

উল্লেখিত সময়ের মধ্যে চীন থেকে সবচেয়ে বেশি ১২৫টি কামান কিনেছে মিয়ানমার। এছাড়া মিয়ানমারের কাছে এই সময়ে সার্বিয়া ১২০, রাশিয়া ১০০, ইসরাইল ২১, উত্তর কোরিয়া ১৬ ও ভারত ১০টি কামান বিক্রি করেছে।

এছাড়া মিয়ানমার নৌ বাহিনী সবচেয়ে বেশি ২১টি নৌ তরী কিনেছে চীনের কাছ থেকে। আর ভারত ও সাবেক যুগোস্লাভিয়ার কাছ তিনটি করে তরী কিনেছে।

এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh