বন্যার্ত শিশুদের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগ করলো আরটিভি
‘এইবার ঈদে নতুন জামা পরমু ভাবিনি’
বন্যার পানি নেমে গেলেও এখনো স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেনি ঢাকার দোহার উপজেলার নারিশা জোয়ার, কৃষ্ণদেবপুর, চর বিলাসপুর ও মধুরচরসহ বন্যাকবলিত এলাকার পরিবারগুলো।
এসব পরিবাগুলোতে ঈদের আনন্দতো দূরে থাক নিজের সন্তানের মুখে খাবার তুলে দেয়াই কষ্টসাধ্য। সেখানে ঈদে ছেলে-মেয়ের জন্য একটি নতুন পোশাকতো কল্পনাই করতে পারেন না তারা।
আর এই কল্পনাকেই বাস্তবে রূপ দিতে ইঞ্জিন চালিত ট্রলার নিয়ে প্রমত্তা পদ্মা পাড়ি দিয়ে আরটিভি পরিবার ছুটে গিয়েছিলো সেখানে। ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করেছে চরাঞ্চলের শিশু-কিশোরদের সঙ্গে।
আর নতুন পোশাক পাবার প্রত্যাশায় চরের চারদিক থেকে দীর্ঘপথ পেরিয়ে দৌড়ে শিশু-কিশোরদের ছুটে আসা ও রঙিন পোশাক নিয়ে ঘরে ফেরা যেন অন্যরকম অনুভূতি।
নতুন জামা শরীরে জড়িয়ে আনন্দে আত্মহারা ১২ বছরের কিশোরী রিয়া। কেমন লাগছে জানতে চাইলেই বলে, ‘এইবার ঈদে নতুন জামা পরমু ভাববারও পারি নাই। আব্বার কাছে জামা চাইছিলাম, না করছে। আব্বায় কয়, কয়দিন আগে বন্যায় ঘর ভাইঙ্গা গেছে ঠিক করবার পারতাছি না, আর তগো জামা কেমনে কিনমু।’
শুধু রিয়া নয়, রিয়ার মতো শত শত শিশু-কিশোরের মুখে হাসি ফুটিয়েছে আরটিভি। আর মূহূর্তেই নতুন পোশাকের রঙিন আনন্দে মেতে ওঠে দোহারের পদ্মার চরাঞ্চলের শিশু-কিশোররা।
আরটিভির এমন কার্যক্রমে সহায়তা করেন স্থানীয় সাংবাদিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মীরা। হাতে হাতে তুলে দেয়া হয় আরটিভি পরিবারের পক্ষ থেকে নতুন পোশাক। বন্যার পানি নেমে জেগে ওঠা চরের মধ্যে এ যেন এক অন্যরকম উৎসব। ঈদের দিনে আরটিভির এমন কার্যক্রমের প্রশংসা করলেন চরাঞ্চলের বাসিন্দারাও।
দোহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে এম আল-আমীন আরটিভির এমন কার্যক্রমকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘ঈদ মানে ধনী-গরিব নির্বিশেষে সম্প্রীতির মহামিলন। আর ঈদের এই খুশি সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে আরটিভির এমন উদ্যোগ প্রশংসনীয়।
বানভাসি ও নদীভাঙন কবলিত এলাকার শিশু কিশোরদের মুখে ঈদের হাসি ফোটাতে নতুন পোশাক নিয়ে আরটিভি আসে পদ্মার দুর্গম চরে। এমন কার্যক্রম দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে ।’
আরটিভির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আশিক রহমান বলেন, ‘ঈদের আনন্দ সবার মাঝে ভাগাভাগি করতেই আরটিভির এমন উদ্যোগ। ধর্মীয়, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ইত্যাদি সব উৎসবই শুভবোধসম্পন্ন শক্তির মিলনক্ষেত্র। শান্তির ছায়া বিস্তৃত হোক এবং বৈষম্যের বিলোপ ঘটুক উৎসবের মাধ্যমে। সকলে ধনী-গরিবের বিভেদ ভুলে ঈদ আনন্দে মেতে উঠুন একসঙ্গে। সবার ঈদ হোক আনন্দময়।’
জেবি/জেএইচ
মন্তব্য করুন