অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিযোগিতাপূর্ণ নির্বাচনের আহ্বান গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের (ভিডিও)
সব দলের অংশগ্রহণে একটি প্রতিযোগিতাপূর্ণ নির্বাচনের আহ্বান জানিয়েছেন ইলেকট্রনিক্স ও অনলাইন গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা। একই সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর আস্থা অর্জনেরও তাগিদ দেন তারা।
নির্বাচন কমিশনের দুই দিনব্যাপী সংলাপের শেষ দিন ইসি’র কাছে তারা এ আহ্বান জানান।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার পরপরই নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদার সভাপতিত্বে সংলাপ শুরু হয়।
সংলাপ শেষে গণমাধ্যম প্রতিনিধিরা অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের সঙ্গে এসব কথা বলেন।
ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সিনিয়র সাংবাদিকরা মনে করেন, ইসি যথেষ্ট শক্তিশালী। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রয়োজন হলে সেনাসদস্যদের মোতায়েন করতেই পারবে। তবে নির্বাচন কমিশনের জন্য বড় সুবিধা হলো এবার ভুয়া ভোট দেয়ার সুযোগ থাকবে না।
এছাড়া ‘না’ ভোট ব্যবস্থা না রাখা ও মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী দলগুলোকে নিবন্ধন না দেয়ার আহ্বান জানান বাসসের প্রধান সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ।
সেনাসদস্য নির্বাচনের জন্য অনুকূল না। সুতরাং অনুকূল রাজনৈতিক পরিবেশের জন্য সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে আলাপ আলোচনা করতে আহ্বান জানান তারা। সংলাপের মধ্য দিয়ে ভবিষ্যতে একটি ভালো ফল আসতে পারে বলেও আশা প্রকাশ করেন তারা।
নির্বাচন কমিশন যে শপথ নিয়েছে, সে শপথ অনুসারেই কাজ করে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেবার সব ব্যবস্থা করবে এমন প্রস্তাব করেন ইলেকট্রনিক্স ও অনলাইন গণমাধ্যমের প্রধানরা।
বৃহস্পতিবার ইলেকট্রনিক্স ও অনলাইন গণমাধ্যমের ৩৪ জন প্রতিনিধিকে আমন্ত্রণ জানায় ইসি।
কমিশন প্রণীত নির্বাচনী কর্মপরিকল্পনা বা রোডম্যাপ উপস্থাপন করে এ বিষয়ে গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বদের মতামত নেয়া হচ্ছে। তাদের পরামর্শ ও মতামতের ভিত্তিতে কমিশন আসছে সংসদ নির্বাচনের জন্য তাদের কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবে।
কে/এমকে
মন্তব্য করুন