• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo

কবি শামসুর রাহমানের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

আরটিভি অনলাইন ডেস্ক

  ১৭ আগস্ট ২০১৭, ১০:৪৩

বরেণ্য কবি শামসুর রাহমানের একাদশ মৃত্যুবার্ষিকী আজ ১৭ আগস্ট। ২০০৬ সালের এই দিনে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।

শামসুর রাহমান ৫০-এর দশকের অগ্রগণ্য কবি। এই দশকের কবিরা ত্রিশোত্তর আধুনিক বাংলা কবিতায় নতুনত্ব যুক্ত করেন।

তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘প্রথম গান, দ্বিতীয় মৃত্যুর আগে’ প্রকাশের পরপরই তিনি সচেতন পাঠকমহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তার পরবর্তী গ্রন্থগুলো পাঠকদের ক্রমেই তার প্রতি আকৃষ্ট করে তোলে। তার চতুর্থ গ্রন্থ ‘নিরালোকে দিব্যরথ’ প্রকাশের মধ্য দিয়ে তার নিজস্ব স্বর ও শিল্পবোধের স্বাতন্ত্র্য স্পষ্ট হয়ে ওঠে। তার কবিতায় নাগরিক জীবন ও গ্রিক মিথের সুনিপুণ ব্যবহার আছে।

১৯৫২ সালের যে ভাষা আন্দোলনে পূর্ব বাংলার বাঙালি নিজের পথ খুঁজতে শুরু করল, কবি হিসেবে শামসুর রাহমানের সূচনাও সেখান থেকেই। এরপর থেকে যেসব ঘটনার মধ্য দিয়ে এ অঞ্চলের শিক্ষিত শ্রেণী আমাদের ইতিহাসের মূলধারা রচনা করেছেন, তার প্রতি সক্রিয়ভাবে সাড়া দিয়েছে তার কবিতা। হাসান হাফিজুর রহমান তার ঐতিহাসিক সংকলন ‘একুশে ফেব্রুয়ারি’তে কবিতা নিয়েছিলেন মাত্র একটি, শামসুর রাহমানের ‘আর যেন না দেখি’। কবিতাটি লেখা হয়েছিল ভাষা আন্দোলনের বেশ আগে। হাসান কবিতাটি নিয়েছিলেন, কারণ তার মনে হয়েছিল একুশের ঘটনা ঘটার আগেই তার উৎকণ্ঠা, গৌরব আর পূর্বসংকেত এ কবিতায় ধরা পড়েছিল।

তবু শামসুর রাহমান তখনো ইতিহাসের রাজপথে এসে দাড়াননি। তার একাকিত্ব ভেঙে দেয় ১৯৬০-এর তুমুল দশক। সে সময়ের টগবগে রাজনৈতিক পটভূমিকায় তার আমূল বদল ঘটে। মুক্তিযুদ্ধপূর্বের কম্পমান আবেগ এক উদ্‌গিরণে বেরিয়ে আসে তার ‘আসাদের শার্ট’ কবিতায়। শামসুর রাহমানের কবিতা এরপর থেকে এক নতুন ইতিহাস।

বাঙালির জাতীয় ইতিহাসের সঙ্গে পায়ে পা মিলিয়ে এগিয়েছে শামসুর রাহমানের কবিতা। এমন একটি প্রবাদ আছে যে আয়ারল্যান্ডের ডাবলিন শহরটি কখনো লুপ্ত হয়ে গেলে জেমস জয়েসের ডাবলিনার্স বইটি থেকে আবার সেটি গড়ে তোলা সম্ভব। এ একই কথা অন্যভাবে শামসুর রাহমানের কবিতার বেলায়ও খাটে। তার কবিতা থেকে গড়ে তোলা সম্ভব আমাদের জাতীয়তাবাদী ও উদার গণতান্ত্রিক ইতিহাসের এক যথাযথ পরম্পরা।

শামসুর রাহমান আদমজি সাহিত্য পুরস্কার, বাংলা একাডেমি পুরস্কার, একুশে পদক, স্বাধীনতা পদকসহ বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ পুরস্কার পেয়েছেন।

১৯২৯ সালের ২৩ অক্টোবর ঢাকার মাহুতটুলিতে জন্ম নেয়া এ কবিকে তার ইচ্ছানুযায়ী ঢাকার বনানী কবরস্থানে, মায়ের কবরের পাশে সমাহিত করা হয়।

এপি/এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh