উত্তরাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি
ভারি বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে যমুনা, ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা, ধরলাসহ সবকটি নদীর পানি বাড়তে থাকায় উত্তরাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে।
এসব দুর্গত এলাকায় ভেঙে পড়েছে সড়ক ও রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা। খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকটে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন বন্যা কবলিতরা।
এদিকে গাইবান্ধায় করতোয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের তিনটি অংশ ভেঙে গেছে। এতে নতুন করে চারটি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে।সব মিলে জেলার মোট দু’লাখের বেশি মানুষ পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
অন্যদিকে জামালপুরের ৭টি উপজেলায় তিন লাখের বেশি মানুষ পানিবন্দি আছেন। বিভিন্ন স্থানে বন্ধ রয়েছে রেল ও সড়ক যোগাযোগ। তলিয়ে গেছে ৫ হাজার হেক্টর জমির রোপা আমন ও বীজতলা।
কুড়িগ্রামে পানিবন্দি রয়েছে ৬০টি ইউনিয়নের প্রায় ৪ লাখের বেশি মানুষ। সিরাজগঞ্জে প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। এছাড়া লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি রয়েছে রংপুরে। রংপুর বিভাগের প্রায় সব জেলাই বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে।আট জেলায় বন্যা পরিস্থিতিতে চিকিৎসাসেবার জন্য ৭০০ মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। প্রতিটি টিমে তিন থেকে চারজন সদস্য রয়েছেন। বিষয়টি আরটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক মোজাম্মেল হোসেন।
অন্যদিকে বিভাগের বন্যাকবলিত এলাকার ১ হাজার ৩শ’ ১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রংপুর বিভাগীয় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মাহবুব এলাহী।
এদিকে দিনাজপুরে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও দুর্ভোগ কমেনি বানভাসিদের।
আরকে/জেবি
মন্তব্য করুন