যার দীপ্ত কণ্ঠের আহ্বানেই অস্ত্রহীন মানুষও যুদ্ধে নেমেছিল (ভিডিও)
যার কণ্ঠের সঙ্গে কোটি কণ্ঠ মিলিয়ে আজকের লাল-সবুজের বাংলাদেশ। তিনিই শেখ মুজিব। যার সংগ্রামী জীবনের অর্থ একটু একটু করে পরিপূর্ণ হয়ে ওঠা স্বাধীন বাংলাদেশের গল্প।
যার দীপ্ত কণ্ঠ আহ্বানেই অস্ত্রহীন মানুষও যুদ্ধে নেমেছিল, সেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক জীবনের প্রায় পুরোটা সময় কেটেছে সংগ্রাম ও আন্দোলনের মধ্য দিয়ে। রাজনৈতিক জীবনে যেমন তিনি অর্জন করেছেন শীর্ষ সাফল্য তেমনি সফল রাষ্ট্রনায়ক হিসেবেও দেশের মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু।
সেই যে সপ্তম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় স্বদেশী আন্দোলনে যোগ দিলেন বঙ্গবন্ধু এরপর পুরোটা জীবনই কেটেছে দুঃখী-বঞ্চিত মানুষের অধিকার আদায়ে।
রাজনীতির শুরু ১৯৩৯ সালে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর হাত ধরে। এরপর ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৬২’র শিক্ষা আন্দোলন, ৬৬’র ছয় দফা আর ৬৯’র গণঅভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেন বঙ্গবন্ধু। আর এ সব আন্দোলনের কারণে জীবনের বেশিরভাগ সময় কারাবরণও করতে হয়েছিলো জাতির পিতাকে।
বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে গণমানুষের রায়ে ৭০ এর নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে আওয়ামী লীগ। যার ধারাবাহিকতাই বাঙ্গালি জাতিকে নিয়ে যায় স্বাধীনতার দিকে। পরবর্তীতে ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণই মূলত এ জাতির মুক্তির পথ দেখায়।
মুক্তিযুদ্ধের সময় বঙ্গবন্ধুকে পশ্চিম পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি রাখা হয়। প্রস্তুত রাখা হয়েছিল ফাঁসির মঞ্চও। কিন্তু তারপরও তিনি দমে যাননি।
বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতা উপহার দেয়ার পর, টুঙ্গিপাড়ার খোকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সরকার গঠন করে স্বাধীন দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করেন সত্যিকারের সোনার বাংলা গড়ার।
অবিভক্ত ভারত থেকে পাকিস্তান এবং পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ পর্যন্ত ৩৮ বছর বঙ্গবন্ধু আন্দোলন করেছেন শোষণ, বৈষম্য ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে। নীতি ও আদর্শের প্রশ্নে তিনি ছিলেন আপোষহীন।
ক্ষুধা, দারিদ্র কিংবা অর্থনৈতিক মুক্তিই নয় জাতির পিতার স্বপ্ন ছিলো সত্যিকারের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা আর বিজয়ী জাতি হিসেবে বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার। আর সেই স্বপ্নপূরণে কাজ করে যাচ্ছে তারই গড়া আওয়ামী লীগ।
দেশ স্বাধীনের দৃঢ় সাহসিকতায় শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘রাজনীতির কবি’ উপাধি দেয় বিশ্বখ্যাত ম্যাগাজিন ‘নিউজউইক’। কেবল তাই নয় বিবিসি জরিপে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালির তালিকায় প্রথম স্থানটি বঙ্গবন্ধুকেই দেয়া হয়।
প্রবল ব্যক্তিত্ব অসম সাহস আর পাহাড় সমান উদারতা মিলিয়ে বঙ্গবন্ধু ছিলেন হিমালয়ের মতোই। শত্রু-মিত্র যাচাই না করেই তিনি বুকে টেনে নিতেন সবাইকে। আর তার মাশুলও জাতির জনককে দিতে হয়েছে সপরিবারে জীবন দিয়ে।
- বেঈমানদের হাতে কলঙ্কিত হয় বাংলার ইতিহাস
- জাতীয় শোক দিবস আজ
- জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
- ‘জন্মদিন পালন করে খালেদা সংলাপের পরিবেশ নষ্ট করেছেন’
জেএইচ
মন্তব্য করুন