• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

জাতীয় শোক দিবস আজ

অনলাইন ডেস্ক
  ১৪ আগস্ট ২০১৭, ১৭:২২

১৫ আগস্ট। জাতীয় শোক দিবস আজ। ১৯৭৫ সালের এই দিনে ধানমন্ডির বাসভবনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। আজ স্বাধীনতার স্থপতি, মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ এ বাঙালির ৪২তম শাহাদত বার্ষিকী। বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে জাতি আজ শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছে বঙ্গবন্ধুকে।

আজ সরকারি ছুটি। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আলাদা বাণী দিয়েছেন। নানা আয়োজনে জাতি আজ স্মরণ করছেন ১৫ আগস্টের শহীদদের। এরমধ্যে রয়েছে ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু ভবনে তার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন। টুঙ্গীপাড়ায় জাতির জনকের মাজার জিয়ারত।

এই দিনে সূর্য ওঠার আগে খুব ভোরে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাসভবনে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করে ঘাতকরা। তারা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, তাদের হাতে একে একে প্রাণ হারিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশু শেখ রাসেলসহ পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল।

পৃথিবীর এই জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড থেকে বাঁচতে পারেননি বঙ্গবন্ধুর অনুজ শেখ নাসের, ভগ্নীপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, তার ছেলে আরিফ, মেয়ে বেবি ও সুকান্ত, বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে যুবনেতা ও সাংবাদিক মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক শেখ ফজলুল হক মণি, তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনি এবং আবদুল নাঈম খান রিন্টু ও কর্নেল জামিলসহ পরিবারের ১৬ জন সদস্য ও ঘনিষ্ঠজন। এ সময় বঙ্গবন্ধুর দু’কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় প্রাণে রক্ষা পান।

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর খুনিদের রক্ষা করতে চলে নানা কৌশল। ১৯৭৫ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রী ও স্বঘোষিত প্রেসিডেন্ট খন্দকার মোস্তাক আহমেদ বিচারের হাত থেকে খুনিদের রক্ষা করতে ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স জারি করেন। পরবর্তীতে জিয়াউর রহমান ১৯৭৯ সালে ইনডেমনিটিকে আইন হিসেবে অনুমোদন করেন।

দীর্ঘ দিন পর বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর খুনিদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করান। ১৯৯৬ সালের ১৪ নভেম্বর খুনিদের বিচারের হাতে ন্যস্ত করতে পার্লামেন্টে ইনডেমনিটি আইন বাতিল করা হয়। দূর হয় বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের সব বাধা।

১৯৯৬ সালের ২ অক্টোবর বঙ্গবন্ধুর একান্ত সহকারি (পিএ) এ এফ এম মোহিতুল ইসলাম ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সংঘটিত নারকীয় হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় থানায় একটি এফআইআর করেন। ১৯৯৭ সালের ১৫ জানুয়ারি সিআইডি এই মামলায় ২০ জনকে অভিযুক্ত করে মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে চার্জশিট দাখিল করে এবং একই বছরের ১২ মার্চ ছয় আসামির উপস্থিতিতে আদালতে বিচার শুরু হয়। দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষে ১৯৯৮ সালের ৮ নভেম্বর মামলার রায়ে বিচারক কাজী গোলাম রসুল ১৫ জন সাবেক সেনা কর্মকর্তাকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন। পরে হাইকোর্টে একটি বেঞ্চে দুইজন বিচারক বিভক্তি রায় দেয়ায় মামলাটি দ্বিতীয় বেঞ্চে স্থানান্তর করা হয়। ২০০১ সালের ৩০ এপ্রিল তৃতীয় বিচারক মোহাম্মদ ফজলুল করিম ২৫ দিন শুনানির পর অভিযুক্ত ১২ জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ নিশ্চিত করেন৷

২০০১ সালের অক্টোবরের সংসদ নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসলে বিচার কাজ বন্ধ থাকে। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতায় আসার পর আবার সচল বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারিক কাজ।

২০০৯ সালের ১৯ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চে হাইকোর্টের দেয়া রায় বহাল রেখে মৃতু্দণ্ডপ্রাপ্ত ৫ আসামির দায়ের করা আপিল আবেদন খারিজ করে দেন৷

সব বিচারিক কার্য সম্পন্ন হওয়ার পর, ২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি আপিলের রায়ের বিরুদ্ধে আসামিদের রিভিউ খারিজ হয়ে গেলে ২৮ জানুয়ারি ৫ আসামির ফাঁসির রায় কার্যকর করে জাতিকে দায়মুক্ত করা হয়। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের কয়েকজন বিদেশের মাটিতে আশ্রয়ে থাকায় তাদের সাজা কার্যকর সম্ভব হয়নি।

জেএইচ

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী : অর্থমন্ত্রী
জাতীয় পতাকার নকশাকারের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন
বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল শনিবার
X
Fresh