• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo

বঙ্গবন্ধু হত্যার চূড়ান্ত নীল নকশা হয় আগস্টের প্রথম সপ্তাহেই (ভিডিও)

আতিকা রহমান

  ০৭ আগস্ট ২০১৭, ১৫:৫১

বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার অন্যতম ষড়যন্ত্রকারী মেজর খন্দকার আব্দুর রশীদ, খন্দকার মোশতাক ও মেজর ফারুক রহমান। এই ৩ জনসহ আরো কয়েকজন বিপথগামী সেনা কর্মকর্তাকে কাজে লাগিয়ে নারকীয় হত্যাকাণ্ড ও লজ্জার ইতিহাস রচনা করে দেশি-বিদেশী ষড়যন্ত্রকারীরা।

বঙ্গবন্ধুকে হত্যা এবং তার পরিবারকে চিরতরে নিশ্চিহ্ন করার পেছনে একদল বিপথগামী উচ্চাভিলাষী সেনা কর্মকর্তারা ছিলেন তেমনি তাদের সঙ্গে ছিলো দেশের স্বাধীনতা বিরোধী চক্র।

আগস্টের প্রথম সপ্তাহেই বঙ্গবন্ধুকে হত্যার চূড়ান্ত নীল নকশা করা হয়। খন্দকার মোশতাকের বাসায় বেশ কয়েকবার বৈঠক করেন মেজর রশীদ। তখন বাণিজ্যমন্ত্রী থাকলেও মোশতাক আহমেদ মূলত মুক্তিযুদ্ধে পরাজিতদের নেতা ছিলেন।

সে সময় মেজর ফারুক ছিলেন সেনাবাহিনীর একমাত্র ট্যাঙ্ক ইউনিট, বেঙ্গল ল্যান্সারের সহ-অধিনায়ক। রশীদ ছিলেন টু ফিল্ড আর্টিলারির কমান্ডিং অফিসার। ফারুকের রেজিমেন্টে ছিলো ৩০টি ট্যাঙ্ক, যা মিসরের প্রেসিডেন্ট বঙ্গবন্ধুকে দিয়েছিলেন। ১৫ আগস্ট রাতে ঐ ট্যাঙ্ক ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে আনা হয়।

৭৫’র ১২ আগস্ট ছিলো ফারুকের বিবাহ বার্ষিকীর অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানের আড়ালে বৈঠক করেন ফারুক-রশীদ। পরে তাদের সঙ্গে যুক্ত হন মেজর ডালিম, মেজর নূর, মেজর হূদা, মেজর শাহরিয়ার, মেজর পাশা ও মেজর রাশেদ।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর দেশের রাজনীতির পট পরিবর্তন হয়।

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত ১২ আসামীর মধ্যে ৫ জনকে ২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি ফাঁসি দেয়া হয়। বাকি ৭ জনের মধ্যে আজিজ পাশা ২০০২ সালে জিম্বাবুয়েতে মারা যান। বাকি ৬ জন বিভিন্ন দেশে পালিয়ে আছেন।

এদিকে গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, খন্দকার আব্দুর রশিদ লিবিয়ায়, এম রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে, শরিফুল হক ডালিম পাকিস্তানে, নূর চৌধুরী কানাডায় আশ্রয় নিয়েছেন। আর ক্যাপ্টেন মাজেদ ও রিসালদার মোসলেহ উদ্দিন ভারতে অবস্থান করছেন।

আরকে/জেএইচ

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh