• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৭৬তম প্রয়াণ দিবস (ভিডিও)

আতিকা রহমান

  ০৬ আগস্ট ২০১৭, ১০:০০

আজ বাইশে শ্রাবণ। বাংলা ভাষা, সাহিত্য-সংস্কৃতি-কৃষ্টির অমর কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৭৬তম প্রয়াণ দিবস। কালজয়ী সাহিত্যের মাধ্যমে আজও তিনি বাঙালির হৃদয়ে বেঁচে আছেন স্বমহিমায়। এখনো সবার কাছে প্রেরণার এক অন্তহীন নাম রবীন্দ্রনাথ।

এশিয়ার প্রথম নোবেলজয়ী এই বাঙালি কবি সাহিত্যিক, চিত্রকার, সুরকার, গীতিকার, দার্শনিক এমন নানা গুণে গুণান্বিত ছিলেন।

এমন ঘনঘোর বরিষায় বাদল দিনের প্রথম কদম ফুল কিংবা বসন্তের আগমনী বার্তায় সবার আগে যে নামটি মনে আসে তিনি হলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। বাংলার ঋতু প্রকৃতি আর গ্রামীণ সৌন্দর্যকে সার্থকভাবে কাব্য, গীতির মাধ্যমে তুলে ধরেছেন তিনি।

বাঙালি সংস্কৃতিতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রভাব সুদূর প্রসারী। সাহিত্যের এমন কোনো শাখা নেই যেখানে কবিগুরুর ছোঁয়া লাগেনি। জীবন চলার পথের সব অনুভূতিকে বৈচিত্র্যময় ভাষা আর শব্দের মাধ্যমে কালি ও কলমে প্রতিষ্ঠা করেছেন তিনি। প্রেম, রোমাঞ্চ, ভালোবাসা কিংবা বিরহ প্রকাশে রবীন্দ্রনাথ যেন অপরিহার্য। তাইতো বাঙালিদের আজও পথ খুঁজতে হয় রবীন্দ্রনাথের সৃষ্টিকর্মের স্ফুলিঙ্গ ধরে।

কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারে জন্ম নেয়া রবীন্দ্রনাথ জীবনসাধনায় জন্ম ও মৃত্যুকে একাকার করেছেন অজস্র গান কবিতার শাশ্বতবার্তায়। জীবন সায়াহ্নে লিখেছিলেন।
সদা দেদীপ্যমান রবীন্দ্রনাথ রাষ্ট্র সমাজ আর বিশ্ব ব্যবস্থায় সমানভাবে প্রাসঙ্গিক। তাঁর সৃষ্টিকর্মের মধ্যে আছে কবিতা, গান, ছোটগল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ, নাটক, গীতিনাট্য, নৃত্যনাট্য, ভ্রমণকাহিনী, চিঠিপত্র, বক্তৃতামালা ও চিত্রকর্ম। গীতাঞ্জলী কাব্যের জন্য ১৯১৩ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার অর্জন করেন তিনি।

বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি’র স্রষ্টা রবীন্দ্রনাথ। ভারতের জাতীয় সঙ্গীতও তারই লেখা।

বিশ্ব সাহিত্য দরবারে রবীন্দ্রনাথ ছিলেন উজ্জ্বল নক্ষত্র। ৩০টির বেশি দেশ ঘুরেও বারবার তিনি ফিরেছেন বাংলায় শেকড়ের টানে শান্তিনিকেতনে কিংবা শিলাইদহের কুঠিবাড়িতে।

সৃষ্টিই যে এই নশ্বর জীবনকে অবিনশ্বরতা দেয় সে কথা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করতেন বলেই তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেছিলেন, ‘তখন কে বলে গো সেই প্রভাতে নেই আমি, সকল খেলায় করবে খেলা এই আমি।’

আজ তাই তো কবি গুরুর মৃত্যুদিনেও যতই ব্যথা থাক হৃদয়ে জেগে ওঠে পুষ্পধ্বনি। রবীন্দ্রনাথের সৃষ্টিসম্ভার মানবজীবনের জন্য পরম পাথেয়। সাহিত্যের এই কীর্তিমান মানুষটি তার অনবদ্য সৃষ্টির গুণে বাঙালির হৃদয়ে রবির কিরণ দিয়ে যাবেন আবহমানকাল ধরে। প্রয়াণ দিবসে কবিকে জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা।

জেবি/এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ঐতিহাসিক বদর দিবস আজ
‘দেশকে ভালোবাসতে হলে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানতে হবে’ 
বাহরাইনে স্বাধীনতা ‍দিবস উদযাপন
মালয়েশিয়ায় স্বাধীনতা দিবস পালন
X
Fresh