বঙ্গবন্ধু নেতৃত্বে জন্ম হয় স্বাধীন বাংলাদেশ
৬৬’র ছয় দফা আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা ৬৯’র গণঅভ্যুত্থান পেরিয়ে ৭০ সালের নির্বাচনে নেতৃত্ব দিয়ে বঙ্গবন্ধু বাঙালির অবিসংবাদিত নেতায় পরিণত হন। তার নির্দেশনাতেই ৯ মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বীর বাঙালি ৭১’র ১৬ ডিসেম্বর বিজয় ছিনিয়ে আনে। জন্ম হয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের।
১৯৬৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি লাহোরে বিরোধীদলগুলোর জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ঐতিহাসিক ছয় দফা দাবি পেশ করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
মার্চ মাসের এক তারিখে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন তিনি। ৮ মে নারায়ণগঞ্জে থেকে গ্রেপ্তার হন। শেখ মুজিবের মুক্তির দাবিতে ৭ জুন ধর্মঘট চলাকালে পুলিশের গুলিতে তিনজন মারা যান।
দুই বছর জেলে থাকার পরও ১৯৬৮ সালে শেখ মুজিব এবং আরো ৩৪ জনের বিরুদ্ধে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা হয়। আগরতলা মামলা কেন্দ্র করে দেশজুড়ে গণ আন্দোলন শুরু হয়।
ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানে প্রতিবাদ, ১৪৪ ধারা ভঙ্গ, কারফিউ, আহত নিহতের ঘটনায়, পাকিস্তান সরকার মামলা প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়। শেখ মুজিবসহ অভিযুক্তরা মুক্তি পান।
ঐ বছর ২৩ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আয়োজনে রেসকোর্স ময়দানে লাখো জনতার সমাবেশে শেখ মুজিবকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধি দেয়া হয়।
১৯৭০ সালের নির্বাচনে শেখ মুজিবের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ প্রাদেশিক আইনসভায় নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে।
দেশের ক্রান্তিলগ্নে ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে এক ঐতিহাসিক ভাষণ দেন, স্বাধীনতার ডাক দেন।
২৫ মার্চ অপারেশন সার্চলাইটের রাতে, গ্রেপ্তার হওয়ার আগেই ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়ি থেকে ওয়ারলেসের মাধ্যমে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন বঙ্গবন্ধু।
মুক্তিকামী বাঙালি ঝাঁপিয়ে পড়ে সশস্ত্র সংগ্রামে। ৯ মাস রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বিশ্বের মানচিত্রে জন্ম নেয় বাংলাদেশ ।
কিউবার অবিসংবাদিত নেতা ফিদেল ক্যাস্ট্রো বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বলেছেন-
‘আমি হিমালয় দেখিনি, তবে শেখ মুজিবকে দেখেছি। ব্যক্তিত্ব ও সাহসে এ মানুষটি ছিলেন হিমালয়ের মতো।’
নীতি ও আদর্শের প্রশ্নে বঙ্গবন্ধু সব সময়ই ছিলেন আপোষহীন।
জেএইচ
মন্তব্য করুন