• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

বিএনপির সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের নিন্দা ওয়াশিংটন টাইমসের

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ২১ জুলাই ২০১৭, ২১:২৭

সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য বিএনপিকে অভিযুক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় সংবাদপত্র ওয়াশিংটন টাইমস। পত্রিকায় প্রকাশিত এক নিবন্ধে বিএনপিকে একটি সন্ত্রাসী দল হিসেবে উল্লেখ করে কানাডার একটি উচ্চ আদালতের দেয়া সাম্প্রতিক এক রুলিংয়ের কথাও উল্লেখ করা হয়।

‘বাংলাদেশে রাজনীতির নামে সন্ত্রাস’ শিরোনামে ১৯ জুলাই পত্রিকায় প্রকাশিত এক বিশ্লেষণে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য বিএনপির সমালোচনা করে বলা হয়, এই দলটি ২০১৪ সালের সাধারণ নির্বাচন বর্জন করে সংসদে অবস্থান হারায়। তখন তারা জামায়াতে ইসলামীকে সঙ্গে নিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালায়।

বিএনপির এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে দু’শতাধিক লোক প্রাণ হারায় এবং এক হাজার একশ’র বেশি লোক আহত হয়। বিএনপির সন্ত্রাসীরা রাজপথে হাজার হাজার গাড়ি পুড়িয়ে দেয়। এতে বলা হয়, এটি কোনো বিরোধী দলের কর্মকাণ্ড নয়, এটি ছিল একটি সন্ত্রাসী সংগঠনের কর্মকাণ্ড।

নিবন্ধের শিরোনামের পাশে বিএনপির দলীয় পতাকা এবং বাংলাদেশের জাতীয় পতাকায় অগ্নিসংযোগের একটি ইলাস্ট্রেশনও দেখানো হয়।

বিশ্লেষণে বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকারের ব্যবস্থা গ্রহণের কারণে কিছু পশ্চিমা মিডিয়া ও বেসরকারি সাহায্য সংস্থার সমালোচনাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

নিবন্ধে বিরোধী দলের সদস্যদের এ ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডকে সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক এবং আইনের শাসনের পরিপন্থী বলে উল্লেখ করা হয়।

নিবন্ধের শিরোনামের পাশে বিএনপির দলীয় পতাকা এবং বাংলাদেশের জাতীয় পতাকায় অগ্নিসংযোগের এ ইলাস্ট্রেশনটি ব্যবহার করা হয়

নিবন্ধে একটি অভিবাসন মামলায় কানাডার একটি উচ্চ আদালতের দেয়া রুলিং এর উল্লেখ করে বলা হয়, বাংলাদেশে বিএনপি আবারো এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হতে পারে।

এছাড়া সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার দায়ে কানাডায় এক বিএনপি নেতার স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি না দেয়ার বিষয়টিও সেদেশের ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা জজ হেনরি এস ব্রাউনের সিদ্ধান্তের কথাও উল্লেখ করা হয়।

পত্রিকায় আদালতের এই রুলিংকে বাংলাদেশে বিএনপির সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের শিকারদের জন্য একটি সুসংবাদ হিসেবে বর্ণনা করা হয়। এতে বলা হয়, কানাডার আদালতর রুলিং-এ ২০০১ সালে বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচনে জয় লাভের পর বিএনপির সন্ত্রাসী ও বোমা হামলার ঘটনা বিশেষ করে ধর্মীয় সংখ্যা লঘুদের ওপর হামলার ঘটনাও উল্লেখ করা হয়।

এতে বলা হয়, ২০০১ সালের সাধারণ নির্বাচনে বিএনপি জয় লাভের পর প্রায় মাসব্যাপী হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ও আওয়ামী লীগ সমর্থকদের ওপর বেপরোয়া সন্ত্রাস চালায়।

২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির উল্লেখ করে নিবন্ধে বলা হয়, জয় লাভের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করান। তাঁর এই পদক্ষেপ প্রশংসিত হয় এবং ক্ষমতায় তাঁর টিকে থাকার ক্ষেত্রে সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করে।

নিবন্ধের মন্তব্যে বলা হয়, জোটের শরিক দল জামায়াত হওয়ায় এই বিচার প্রক্রিয়ায় বিএনপিকে কিছুটা বিব্রতকর অবস্থার মুখোমুখি হতে হয়। এতে বলা হয়, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়ে বাংলাদেশে ৩০ লাখ লোক শহিদ হন। জামায়াতের নেতাকর্মীরা সে সময়ে নৃশংস হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয়।

তারা মানবতাবিরোধী অপরাধ করে। এতে আরো বলা হয়, যুদ্ধাপরাধের বিচারের জন্য বাংলাদেশ সরকার যখন একটি আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে, তখন বিএনপি ও জামায়াত এই ট্রাইব্যুনালের বিচার কাজে বাধা দেয়ার চেষ্টা করে।

২০১৩ ও ২০১৪ সালে তারা দেশব্যাপী হরতাল ধর্মঘটের মতো কর্মসূচি দিয়ে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ক্ষতিগ্রস্ত করে।

পত্রিকায় ইউরোপীয় পার্লামেন্টে এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়ে জামায়াত থেকে দূরে থাকতে বিএনপির প্রতি আহ্বান জানিয়ে একটি প্রস্তাব গ্রহণের কথাও উল্লেখ করা হয়।

নিবন্ধে বলা হয়, বিএনপিকেই এখন সিদ্ধান্ত নিতে হবে, তারা কি জামায়াতের সঙ্গে থাকবে নাকি বাংলাদেশের গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রায় শামিল হবে। বাসস।

সি/

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
‘আগামী নির্বাচনে অংশ না নিলে বিএনপির অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাবে’
উপজেলা নির্বাচন ঘিরে দূরত্ব বাড়ছে বিএনপির কেন্দ্র ও তৃণমূলে 
উপজেলা নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত বিএনপির
পিটার হাসকে নিয়ে বিএনপির বোধোদয় 
X
Fresh