• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

নতুন ভ্যাট আইন কার্যকর না হওয়ায় রাজস্ব ঘাটতি হতে পারে : সিপিডি (ভিডিও)

অনলাইন ডেস্ক
  ১০ জুলাই ২০১৭, ১৯:২৮

নতুন মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) আইন কার্যকর না হওয়ায় চলতি (২০১৭-১৮) অর্থবছরে রাজস্ব আয়ের ঘাটতি হতে পারে। জানিয়েছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।

সোমবার রাজধানীর মহাখালী ব্র্যাক সেন্টারে বাজেট অনুমোদন পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে সিপিডির পক্ষ থেকে এসব পর্যবেক্ষণ তুলে ধরা হয়।

এই ঘাটতি পূরণে সংস্থাটি প্রত্যক্ষ কর, এনবিআর বহির্ভূত কর রাজস্ব আয় এবং নন-এনবিআর রাজস্ব আহরণের ওপর জোর দেয়ার পরামর্শ দিয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে সিপিডির সম্মানিত ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য ও ড. মোস্তাফিজুর রহমান, নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন, গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, রিসার্স ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।

ড. দেবপ্রিয় বলেন, তিন কারণে নতুন ভ্যাট আইন কার্যকর করা যায়নি। প্রথমত আইন বাস্তবায়নে এনবিআরের কারিগরি প্রস্তুতির অভাব ছিল। এ কারণে ভ্যাট আইন বাস্তবায়নের পর কার ওপরে কতটুকু করভার পড়ছে তার সঠিক হিসেব করা হয়নি। দ্বিতীয়ত যে সব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান আইন বাস্তবায়নে যুক্ত থাকে তাদের মধ্যে ঐক্যমতের সৃষ্টি হয়নি। তৃতীয়ত ভ্যাট আইন ভোক্তার আয়-ব্যয় ওপর প্রভাব কী ফেলবে তার সামাজিক তাৎপর্য অনুধাবন করা হয়নি।

তিনি বলেন, আমদানি পর্যায়ে ১ শতাংশ শুল্ক হ্রাস করার প্রভাব রাজস্ব আয়ে পড়বে না। অন্যদিকে সম্পূরক শুল্ক অভ্যন্তরীণ অর্থনীতিতে প্রয়োগের ফলে আয় বাড়তে পারে। তবে যেসব সেবা খাতে খণ্ডিত ভিত্তিমূল্যে হিসেব করা হতো, সেখানে পরিবর্তন আসবে।

চলতি অর্থবছরে রাজস্ব ঘাটতির ৩টি প্রাক্কলন দিয়ে দেবপ্রিয় বলেন, রাজস্ব ঘাটতির পরিমাণ ৪৩ হাজার থেকে ৫৫ হাজার কোটি টাকার মধ্যে থাকতে পারে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে রাজস্ব আয়ের প্রবৃদ্ধি ১৯ শতাংশ হয়েছে, এ ধারা অব্যাহত থাকলে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে রাজস্ব ঘাটতি হতে পারে ৪৩ হাজার কোটি টাকা। আর গেলো অর্থবছরগুলোতে যে হারে প্রবৃদ্ধি হয়েছে (১৫ শতাংশ) সে হিসেবে প্রবৃদ্ধি হলে ঘাটতি থাকবে ৫১ হাজার ১০০ কোটি টাকা। আর জিডিপির প্রবৃদ্ধির হার ঘাটতি হতে পারে ৫৫ হাজার কোটি টাকা।

তিনটি অভিষ্ট লক্ষ্যকে সামনে রেখে বাজেটোত্তর কর্মপরিকল্পনা তৈরির পরামর্শ দিয়ে সিপিডির সম্মানিত ফেলো ড. দেবপ্রিয় বলেন, সামগ্রিক অর্থনৈতিক বিকাশের স্বার্থে তিনটি লক্ষ্য সামনে রাখা উচিত। প্রথমত চলমান সামষ্টিক স্থিতিশীলতা ধরে রাখা। দ্বিতীয়ত ব্যক্তি বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। তৃতীয়ত রাষ্ট্রীয় ব্যয়ের ক্ষেত্রে কর্মসংস্থান বাড়ে এ ধরনের পদক্ষেপ নিতে হবে।

জেএইচ

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh