• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

নৈতিক স্খলনে জামায়াতের নায়েবে আমিরকে অব্যাহতি

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ০৫ জুলাই ২০১৭, ১৩:১০

অনৈতিকতার দায়ে জামায়াতে ইসলামির কেন্দ্রীয় নায়েবে আমিরের পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে আতাউর রহমানকে। তিনি রাজশাহী মহানগর জামায়াতের সাবেক আমির। রশিদা বেগম নামে ইসলামি ব্যাংক হাসপাতালের এক আয়াকে বিয়ে করে স্ত্রী হিসেবে অস্বীকার করার অভিযোগ ওঠায় তার বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার রাজশাহীর মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে রশিদা বেগম (৫২) অধিকার ফিরে পেতে মামলা করেন।

বাদীর পক্ষে আদালতে মামলাটি করেন আইনজীবী মোমিনুল ইসলাম। পরে শুনানি শেষে মুখ্য মহানগর হাকিম মাহবুবুর রহমান আসছে ৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আসামি আতাউর রহমানকে হাজির হতে নির্দেশ দেন।

মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, ২০১৬ সালের ১১ এপ্রিল আতাউর রহমানের সঙ্গে ২ লাখ টাকা দেনমোহরে তার বিয়ে হয়। নগরীর রাজপাড়ার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বিবাহ রেজিস্ট্রার ও কাজী আবদুস সাত্তারের কাছে ২ লাখ টাকা দেনমোহরে কাবিন হয়। যার নম্বর ০৬/২০১৬। এরপর তারা গোপনে বসবাসও করেন।

দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির পরিবর্তন হলে আতাউর রহমান প্রকাশ্যে আসেন। কিন্তু রশিদা বেগমকে স্ত্রী হিসেবে অস্বীকার করেন। অধিকার ফিরে পেতে কাবিননামা নিয়ে বিভিন্ন স্থানে দেনদরবার করলে তাকে ভয়ভীতি দেখানো হয়।

অভিযোগে আরো বলা হয়, আতাউর রহমানের সঙ্গে সংসার করতে হলে ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করা হয় রশিদা বেগমের কাছে। গেলো ২ জুন ভাইদের নিয়ে রশিদা বেগম শহরের তেরখাদিয়া এলাকায় আতাউর রহমানের বাড়িতে যান। কিন্তু তাকে ঘরে তুলে নেননি।

নিজেকে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির আতাউরের স্ত্রী দাবি করা রশিদা বেগম রাজশাহীর লক্ষ্মীপুর শাখা ইসলামী ব্যাংক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আয়া। তার আগের পক্ষের দুই মেয়ে আছে। এক মেয়েকে নিয়ে তিনি বসুয়া এলাকায় থাকেন।

এদিকে আতাউর রহমানের বয়স ৬৫ বছর। তার স্ত্রী ও ৫ সন্তান আছে। রশিদা একসময় আতাউর রহমানের বাসায় কাজ করার সুবাদে পারিবারিকভাবে তাদের পরিচয়। রাজশাহী মহানগর জামায়াতের আমির থাকার সময় গ্রেপ্তার এড়াতে অনেক দিন আত্মগোপনে ছিলেন আতাউর রহমান। একবার রশিদা বেগমের বাসা থেকে গ্রেপ্তার হন তিনি। তখন ওই ঘটনায় দলে প্রশ্ন ওঠে।

এদিকে জামায়াতের এই কেন্দ্রীয় নেতার বিরুদ্ধে নৈতিক স্খলনের অভিযোগ পেয়েছে দলের তদন্ত কমিটি। এরপর তাকে ডেকে দলের রুকনিয়াত (সদস্যপদ) স্থগিত করার সিদ্ধান্ত জানানো হয়। এবং দলের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমিরের পদ থেকে অব্যাহতি নিতে বলা হয়। পরে তিনি অব্যাহতি নেন।

এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে আতাউর রহমান তা অস্বীকার করেন। বলেন, আমি অসুস্থ বিয়ে করার মত সামর্থ্য নেই। এটা সাজানো ঘটনা।

এইচটি/ এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh