• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

ঈদ মানুষকে একটি ছাতার নিচে নিয়ে আসে (ভিডিও)

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ২৬ জুন ২০১৭, ১৩:১৮

ইসলাম শান্তি-সম্প্রীতির ধর্ম, এখানে হিংসা-বিদ্বেষ ও হানাহানির কোনো স্থান নেই। বন্ধুত্বপূর্ণ সমাজ গড়ে তুলতে এবং ধনী, দরিদ্র, বিশিষ্ট ব্যক্তি ও সুবিধাবঞ্চিত লোকসহ সব মানুষকে একটি ছাতার নিচে নিয়ে আসার সুযোগ সৃষ্টি করে দেয় ঈদুল ফিতর। বললেন রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ।

তিনি আজ (সোমবার) সকালে বঙ্গভবনে মুসলমানদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, মাসব্যাপী রমজান শেষে ঈদ সমাজের সব শ্রেণির মানুষের মধ্যে ভালবাসা, সম্প্রীতি ও ঐক্যের সম্পর্ক গড়ে তোলার সুযোগ তৈরি করে।

রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এবং তার স্ত্রী রাশিদা খানম সকাল ১০টা থেকে দুপুর পর্যন্ত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

রাষ্ট্রপতি ইসলামকে শান্তি ও সমৃদ্ধির ধর্ম হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, ইসলামে হিংসা, ভেদাভেদ ও সন্ত্রাসের কোনো ঠাঁই নেই এবং ইসলাম কখনো জঙ্গিবাদকে সমর্থন জানায় না।

রাষ্ট্রপতি ঈদুল ফিতরের শিক্ষা একটি সুখী ও সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়তে সহায়তা করবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী, প্রধান বিচারতি এস কে সিনহা, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্ট, সংসদ সদস্য, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ এবং তিন বাহিনীর প্রধানগণ, পুলিশের আইজি, ব্যবসায়ী, ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব, সিনিয়র সাংবাদিকগণ, শিল্পী, পদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাগণ যোগ দেন।

এছাড়া অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত কূটনৈতিক কোরের ডীন, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানগণও যোগ দেন।

এর আগে সকালে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ রাজধানীতে জাতীয় ঈদগাহ মাঠে সমাজের সবস্তরের মুসল্লিদের সঙ্গে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেন।

হাইকোর্ট চত্বর সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ মাঠে আজ সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে প্রধান ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

মন্ত্রিসভার সদস্যবর্গ, সুপ্রিম কোর্টের বিচারকগণ, সংসদ সদস্যবর্গ, সিনিয়র রাজনীতিবিদ, উচ্চ পদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা এসময় ঈদের জামাতে নামাজ পড়েন।

বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম মাওলানা মিজানুর রহমান ঈদের নামাজে ইমামতি করেন।

দেশ ও দেশের মানুষের শান্তি অগ্রগতি ও কল্যাণ কামনা এবং মুসলিম বিশ্বের মঙ্গল কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

রাষ্ট্রপতি নামাজ শেষে মুসল্লিদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কপোরেশনের তত্ত্বাবধানে এই ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

জাতীয় ঈদগাহ মাঠে মহিলাদের জন্য ঈদের নামাজের বিশেষ ব্যবস্থা ছিল। ঈদ জামাতের মাঠের চারপাশে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।

রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এর আগে ঈদগাহ মাঠে এসে পৌঁছলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন তাকে স্বাগত জানান।

জেএইচ

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh